গার্হস্থ্য হিংসায় লাগাম টেনে  মেয়েদের শিক্ষার বিকাশে তৈরি ভিজিল্যান্স গ্রুপ

গার্হস্থ্য হিংসায় লাগাম টেনে  মেয়েদের শিক্ষার বিকাশে তৈরি ভিজিল্যান্স গ্রুপ

 

পুণে: সমাজের তৃণমূল স্তরে পৌঁছে গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে অনেকটাই সফল হয়েছেন তাঁরা৷ এবার শুরু অন্য লড়াই৷ গ্রামের মেয়েদের শিক্ষার উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করল পুণে জেলা পরিষদের ওমেন’স ভিজিলেন্স গ্রুপ৷ জেলা পরিষদের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্তা আয়ুষ প্রসাদ বলেন, গ্রামের মেয়েরা যাতে স্নাতন স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সেই লক্ষ্যেই কাজ শুরু করেছে মহিলাদের এই গ্রুপ৷ 

আপও পড়ুন-  রাহুল সাক্ষাতে সময় চাইলেন বিদ্রোহী শচীন! মরু-রাজ্যে গলছে বরফ?

 

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হতেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছিল একের পর এক গার্হস্থ্য হিংসার খবর৷ ব্যতিক্রম ছিল না পুণেও৷ এই সমস্যা সমাধানে পুণে জেলা পরিষদ গঠন করে তিন সদস্যের একটি নজরদারি সংস্থা৷ মহিলা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রতিনিধি এবং মহিলা ও শিশু কল্যাণ কমিটির সদস্যকে নিয়ে গঠিত হয় এই গ্রুপ৷ এই মহিলারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা৷ 

আরও পড়ুন- এবার পতঞ্জলির টাকায় হবে IPL? স্পনসরশিপের দৌড়ে সামিল রামদেব

 

আমাদের সমাজের আরও একটি গভীর সমস্যা হল স্কুল ছুট৷ প্রসাদ বলেন, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের স্কুল-কলেজ থেকে ড্রপ আউটের ঘটনা অনেক বেশি৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা দেখেছি প্রাইমারি, সেকেন্ডারি এমনকী দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরও মেয়েদের হঠাৎ করে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়৷ আর অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের ঠেলে দেওয়া হয় উপার্জনের পথে৷ বিভিন্ন সংগঠিত বা অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজে যোগ দেওয়াই হয় তাঁদের পরিণতি৷’’

আরও পড়ুন- গুলির শব্দ শুনে বেড়ে ওঠা ভূস্বর্গের পড়ুয়াদের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ এখন করোনা

 

এই মহিলা গোষ্ঠী গ্রামে নীচু স্তরে পৌঁছে প্রাথমিক পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করবেন৷ পরিবারের মেয়ে সন্তানদের পড়াশোনা যাতে মাঝ পথে বন্ধ করা না হয়, সেই পরামর্শই দেবে এই ভিজিল্যান্স গ্রুপ৷ মেয়েরা অন্তত যাতে তাঁদের স্নাতক ডিগ্রি পাশ করেন, সেই বিষয়েই উৎসাহ ও পরামর্শ দেওয়া হবে৷ তবে  নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েদের উপর যে একটা  সামাজিক চাপ রয়েছে তা উপেক্ষা করতে পারেনি জেলা পরিষদ৷ সে কারণেই স্কলারশিপের বন্দোবস্ত করেছেন তাঁরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + 17 =