নিজস্ব প্রতিনিধি: ত্রিপুরায় এবার নিশ্চিত ভাবে বদল হবে। বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসবে বাম-কংগ্রেস জোট। এমনটাই দাবি করছেন ত্রিপুরা কংগ্রেসের সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। তিনি এবার ত্রিপুরার কৈলাশহর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাম-কংগ্রেস জোট প্রথম থেকেই বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ত্রিপুরায়। সেক্ষেত্রে ভোটাররা কার্যত দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছেন, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের জোট হয়। কিন্তু দেখা যায় সিপিএমের ভোট কংগ্রেসের দিকে গেলেও কংগ্রেসের ভোটের পুরোটা সিপিএমের দিকে যায়নি। তাই সেবার অনেক আশা জাগিয়েও ব্যর্থ হয়েছিল বাম-কংগ্রেস জোট। একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনেও ব্যর্থ হয়েছিল বাম-কংগ্রেস জোট। কিন্তু বীরজিৎ নিশ্চিত পশ্চিমবঙ্গের পুনরাবৃত্তি ত্রিপুরায় ঘটবে না। ত্রিপুরায় বিজেপির পাঁচ বছরের শাসনকালে মানুষ সন্ত্রাস ও অনুয়ন্নন দেখেছে। তাই তাদের পরাজয় নিশ্চিত। এমনটাই দাবি করছেন তিনি।
কিন্তু প্রশ্ন হল দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ত্রিপুরায় বাম ও কংগ্রেসের সম্মুখ সমর দেখেছে গোটা রাজ্য। তাই মানুষ কী এবারের নয়া সমীকরণকে সুবিধাবাদী জোট হিসেবে দেখবে না? এই প্রশ্ন যথারীতি উঠেছে। তবে ত্রিপুরা কংগ্রেস সভাপতি মনে করছেন মানুষ ঠিক করে ফেলেছেন, তাই তাঁরা এবার বাম-কংগ্রেসকেই ভোট দেবেন। তাই এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা সাংসদ রাহুল গান্ধী ত্রিপুরায় প্রচার করতে না এলেও অসুবিধার কিছু দেখছেন না বীরজিৎ। আসলে জয় নিয়ে এতটাই নিশ্চিত তাঁরা। এর পাশাপাশি তৃণমূলকেও সামান্যতম গুরুত্ব দিচ্ছেন না তাঁরা। প্রদেশ সভাপতি মনে করেন তৃণমূল ত্রিপুরায় গিয়ে বিজেপির বি-টিম হয়ে কাজ করছে। তারা বিজেপির দালালি করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে জোটের অন্যতম প্রধান মুখ বীরজিৎ ত্রিপুরায় জয় নিয়ে খুবই আশাবাদী।
