শুধু ভোট লুট অভিযোগ বিজেপির (BJP Organizational Growth)
সদ্য চারটি বিধানসভা নির্বাচনের উপনির্বাচনে জয়জয়কার হয়েছে তৃণমূলের। মানিকতলা, বাগদা, রায়গঞ্জ এবং রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে বিশাল জয় পেয়েছে বাংলার শাসক দল। যদিও প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ ভোট লুট করে জিতেছে তৃণমূল। যথারীতি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে শুধু একথা বললে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের যে স্বপ্ন দেখছে বিজেপি তা বড় ধাক্কা খাবে। কারণ সংগঠন বাড়াতে না পারলে তৃণমূলের সঙ্গে যে লড়াইতে তাঁরা এঁটে উঠতে পারবেন না, এটা বুঝতে হবে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে।
যেখানে সংগঠন ভাল, সেখানে ভাল ফল বিজেপির (BJP Organizational Growth and Election Strategy)
পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একইভাবে ভোট লুটের অভিযোগ করেছিল বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল বলছে যে সমস্ত এলাকায় বিজেপির ভাল সংগঠন রয়েছে সেখানে তারা অপেক্ষাকৃত ভাল ফল করেছে। সেক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হবে নন্দীগ্রামের কথা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সঙ্গে জোর টক্কর দিয়ে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। এছাড়া সার্বিকভাবে অন্যান্য জেলার তুলনায় পূর্ব মেদিনীপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ফল তুলনামূলকভাবে ভাল হয়েছিল।
বলার মতো সংগঠন কোথায়? (Bharatiya Janata Party VS Trinamool Congress)
তার কারণ এই জেলায় মোটামুটি বলার মতো সংগঠন তৈরি করতে পেরেছে বিজেপি। তাই সমস্ত জেলায় কেন ভাল সংগঠন গড়তে পারছে না বিজেপি, সেই প্রশ্ন নতুন করে তুলে দিল এই উপনির্বাচনের ফলাফল।
রাজনৈতিক মহল মনে করে যদি কেউ বুথ দখল করতে চায় তাহলে বিপক্ষের সংগঠন থাকলে তারা নিশ্চিতভাবে সেখানে বাধা দিতে পারবে। এ বিষয়ে ১৯৭২ সালের ভাঙড় বিধানসভা নির্বাচনের কথা তুলে ধরলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। সেই বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সীমাহীন রিগিং, সন্ত্রাস ও বুথ দখলের অভিযোগ উঠেছিল। গোটা রাজ্যে সিপিএমের আসন সংখ্যা কুড়ির নীচে ছিল।
কোথায় বিজেপির আন্দোলন? (Political Competition)
কিন্তু তার মধ্যেও ভাঙড় কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৎকালীন সিপিএম প্রার্থী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। সেই শুরু, এরপর কোনও দিন কোনও নির্বাচনে আর হারতে হয়নি রেজ্জাককে। এরকম বহু উদাহরণ রয়েছে। তাই শুধু টিভির পর্দায় নেতাদের বক্তব্য রাখলেই হবে না। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে সংগঠন বাড়াতে হবে। তবেই নির্বাচনে সাফল্য পাওয়া যাবে। এমনটাই মনে করেন রাজনীতির কারবারিরা। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু করছে বিজেপি।
ফের মুখ থুবড়ে পড়বে বিজেপি? (BJP party growth)
রাজভবনের সামনে সদ্য ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর একগুচ্ছ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। কিন্তু রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লকে বিজেপির সংগঠনের কী হাল সেটা সকলেরই জানা। তাই সেই ছবি বদলাতে না পারলে আগামী দিনে আরও নির্বাচনে বিজেপিকে যে ফের মুখ থুবড়ে পড়তে হতে পারে সেটা ধরে নেওয়াই যায়।
আরও পড়ুন-
অযোধ্যার পর বদ্রীনাথ, ফের হার বিজেপির! যেন উধাও হিন্দুত্ব লাইন
এবার ধর্মচর্চায় ঢালাও ‘অনুমতি’ দেবে সিপিএম?
অধীরের সরে যাওয়া নিশ্চিত, নতুন প্রদেশ সভাপতির দৌড়ে কারা?
Politics: BJP claims vote looting by TMC in recent elections. Despite these claims, BJP’s lack of organizational growth in Bengal hinders their power ambitions. Strong local presence crucial for BJP’s success against TMC.