‘বিজেপি ভাতিজা-ভাতিজা করেই মরে গেল, ওর বউকেও ছাড়ছে না’, আক্ষেপ মমতার

প্রধানমন্ত্রী ৫ বছরে শুধুই বিদেশ ভ্রমণ ও নিজের প্রচার করেছেন। কী কী কাজ করেছেন এখন তার জবাব দিতে হবে। দক্ষিণ কলকাতার মেটিয়াবুরুজে এক প্রচার সভায় এই ভাষায় মোদিকে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর বিজেপির আক্রমণ সঙ্গেও আক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘নমোর নামে জামা-টিভি হয়েছে, এবার জুতোর

‘বিজেপি ভাতিজা-ভাতিজা করেই মরে গেল, ওর বউকেও ছাড়ছে না’, আক্ষেপ মমতার

প্রধানমন্ত্রী ৫ বছরে শুধুই বিদেশ ভ্রমণ ও নিজের প্রচার করেছেন। কী কী কাজ করেছেন এখন তার জবাব দিতে হবে। দক্ষিণ কলকাতার মেটিয়াবুরুজে এক প্রচার সভায় এই ভাষায় মোদিকে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর বিজেপির আক্রমণ সঙ্গেও আক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷

নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘নমোর নামে জামা-টিভি হয়েছে, এবার জুতোর দোকান দেবে বিজেপি।’ সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপিকে একাসনে বসিয়ে তাঁর বক্তব্য, ওরা হল জগাই-মাধাই-বিদাই। কংগ্রেস ও সিপিএম বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছে, এবার বিজেপিও দেশ থেকে বিদায় নেবে, মন্তব্য মমতার। বামেরা দিল্লিতে বিজেপি বিরোধিতা করে আর এই রাজ্যে ওদের হয়ে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জনতার আনুষ্ঠানিক পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময়েই মমতা বলেন, “বিজেপি ওকেও ছাড়ে না, ওর বউকেও ছাড়ে না।” বলেন, “বেচারার একটা ছোট্ট বউ আছে, পাঞ্জাবী মেয়ে, বাংলাও বোঝে না ভাল করে। তাকেও ছাড়ে না।” বলেন, ‘‘আমাদের পরিবারের সবাইকে চেনেন না। ইন্দিরা গান্ধী মারা গিয়েছিলেন। তখন আমি কংগ্রেস করতাম। ছাত্র রাজনীতিতে ছিলাম। ১৯৮০ সালে মিছিল হত। সিপিএম বলতো, পাড়া থেকে বেরোচ্ছে, কিন্তু ঢুকতে দেওয়া হবে না। ভাই-বোনেরা মিছিল করতাম। মা আঁঠা করে দিত পোস্টার মারব বলে৷’’ মমতা বলেন, ‘‘একমাত্র একটা ছেলে অভিষেক রাজনীতিতে এসেছে। তাতে এত গাত্র জ্বালা বিজেপির! এত হিংসুটে। ভাতিজা, ভাতিজা বলে মেরে গেল। আজকেও এখানে এসে বলে গেল। সারাক্ষণ পিছনে লাগে। আমাদের পরিবারের লোকের নখের যোগ্য নয়৷

এর আগে কাকদ্বীপে মথুরাপুরের তৃণমূল প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়ার হয়ে এক সভায় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়ে বলেন, গঙ্গাসাগরের পূণ্যার্থীদের জন্য মুড়িগঙ্গার ওপর একটা লোহার সেতু তৈরি করে দেওয়ার দাবি করেছিলাম। কিন্তু বিগত তিনবছরে সেটা হয়নি। এরপরই তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রে যদি তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে, তবে এই সেতুর ছাড়পত্র দিতে ২ মিনিটও সময় লাগবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদিকে তোপ দেগে বলেন, পাঁচবছর কেন্দ্রে একটা অপদার্থ সরকার ছিল, এই সরকারকে হটাতে না পারলে দেশকে রক্ষা করা যাবেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − 1 =