পিকে’র টিমকে আটক রাখার ঘটনা নক্কারজনক, কীসের এত ভয়? ভর্ৎসনা ব্রাত্যর

পিকে’র টিমকে আটক রাখার ঘটনা নক্কারজনক, কীসের এত ভয়? ভর্ৎসনা ব্রাত্যর

 
 

আগরতলা:  আগরতলা হোটেলে পিকে’র টিমের সদস্যদের আটকে রাখার ঘটনাকে নক্কারজনক বলে উল্লেখ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ আজ সকালেই ত্রিপুরায় পৌঁছয় তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল৷ এই দলে রয়েছে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়৷

এদিকে, কোভিড ‘বিধিভঙ্গে’র অভিযোগে টিম পিকের সদস্যদের তলব করা হয়েছে৷ তলব করেছে পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ৷ ১ অগাস্ট তাঁদের থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ গোটা ঘটনায় ত্রিপুরা সরকারের দিকে আঙুল তোলেন ব্রাত্য৷ তিনি বলেন, আইপ্যাকের সদস্যদের প্রত্যেকের কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া সত্বেও হোটেলের ঘরে তাঁদের কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে৷ সমন জারি করা হয়েছে৷ যে ভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তাতে সরকারের ভয়, ট্রমা ও উঠকণ্ঠা প্রকাশিত৷ সরকারের এই নিরাপত্তাহীনতা, ভয় কেন?

তাঁর কথায়, এই ধরনের সমীক্ষক সংস্থা প্রত্যেক রাজ্যেই যায়৷ তাঁরা সেখানে গিয়ে সমীক্ষা চালায়৷ আইপ্যাকের মাথার উপর প্রশান্ত কিশোর বসে রয়েছেন, এটাই কি তাঁদের অপরাধ? ক’দিন আগেই পশ্চিমবাংলায় রক্তক্ষয়ী নির্বাচন হয়েছে৷ বিজেপি সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেও পরাজিত৷ ভারতবর্ষের পূর্বপ্রান্তে উন্নয়ন, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ও সমন্বয়ের মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সময় কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই বিজেপি’র বহু সমীক্ষক সংস্থা পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন৷ বিজেপি’র নেতারা বারবার রাজ্যে এসেছে৷ কিন্তু কোনও বিজেপি নেতা বা তাঁদের সমীক্ষক সংস্থাকে হোটেলে অবরুদ্ধ করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ৷ তাঁদের নজরবন্দী করা হয়নি৷ কোনও স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ করা হয়নি৷ অথচ ত্রিপুরায় অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী মুখ আমরা দেখলাম৷ আমরা উদ্বিগ্ন৷ আইপ্যাকের পাশে আমরা দাঁড়িয়েছি৷

ব্রাত্য জানান, আইপ্যাকের সদস্যরা সকলেই কোভিড বিধি মেনে চলছেন এবং তাঁদের সকলের কাছে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট আছে৷ আমরা আশা করব, এই ধরনের আচরণ আর ত্রিপুরা সরকার করবে না৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি থেকে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী৷ উদ্বেদ প্রকাশ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ব্রত্য বলেন, ত্রিপুরা মৈত্রীর ভূমি, সম্প্রীতির ভূমি৷ এ রাজ্যে এমন ঘটনা অশোভনীয়৷ তাঁর কথায়, বিজেপিকে আটকাতে পারেন একজন মানুষই, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর তাঁর দল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × two =