বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন (Bengal bypolls)
১০ জুলাই রাজ্যে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সেগুলি হল রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা, মানিকতলা এবং রায়গঞ্জ। চারটি কেন্দ্রেই বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে নির্বাচন কমিশন। রায়গঞ্জে ১২ কোম্পানি, রানাঘাট দক্ষিণে ১৫ কোম্পানি, বাগদায় ১৬ কোম্পানি এবং মানিকতলা বিধানসভায় ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তার মধ্যে প্রতিটি বিধানসভায় এক কোম্পানি করে বাহিনী থাকবে স্ট্রংরুম পাহারা দেওয়ার জন্য। অর্থাৎ প্রত্যেকটি বুথ কার্যত কড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় মোড়া থাকবে উপনির্বাচনের দিন।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরও বহু জায়গায় বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ (central forces in Bengal)
ঘটনা হল লোকসভা নির্বাচনেও বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি কেন্দ্রে। এরপরেও বহু জায়গায় বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট ও অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বহু লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কিছু জায়গায় ভোটাররা দুষ্কৃতীদের ভয়ে বুথে ভোট দিতে যেতে বাধা পেয়েছেন বা হুমকির শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই সমস্ত অঞ্চলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাংশকে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল।
বিজেপির অন্দরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন (paramilitary forces)
এছাড়া নির্বাচনের সময় একাধিক বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে এও দেখা গিয়েছিল বিরোধী প্রার্থীদের বিভিন্ন জায়গায় আটকে দেওয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের তাড়া করছে উন্মত্ত জনতা, এই দৃশ্য পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল। সেখানে নিরাপত্তা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। প্রায় এক হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পশ্চিমবঙ্গে শেষ দুটি দফায় থাকলেও নির্বাচন একশো শতাংশ শান্তিপূর্ণ হয়নি বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করে। সবারই ধারণা ছিল সামান্য বিশৃঙ্খলা হলেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় মুহূর্তে তার সমাধান হবে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন দফায় বহু জায়গায় রক্ত ঝরেছে ও ব্যাপক অশান্তি হয়েছে।
‘বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো’ পরিস্থিতি (violence in elections)
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আসন্ন উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি হবে না তো? ‘বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো’ পরিস্থিতি তৈরি হবে না তো? রাজনৈতিক মহল মনে করে সাধারণত উপনির্বাচনে শাসক দলের একচেটিয়া আধিপত্য দেখা যায়। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, কম বেশি প্রত্যেকটি রাজ্যেই এমন প্রেক্ষাপট দেখা যায় বলে রাজনীতির কারবারিরা মনে করে। সেই জায়গা থেকে উপনির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তাই চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও তা একশো শতাংশ শান্তিপূর্ণ হবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আরও প়ড়ুন-
বিজেপির পরবর্তী সভাপতি সুনীল বনশাল? জল্পনা তুঙ্গে
কোন কোন কারণে মানিকতলা উপনির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে
দশ বছরে স্রেফ ‘অ্যাপেটাইজ়ার’! ‘মেন কোর্স’ এখনও বাকি: মোদী
Politics: Over 50 companies of central forces to be deployed for Bengal bypolls. Will it ensure peaceful elections or repeat the violence of Lok Sabha polls?