Political Double Standards in India
দেশের যে কোনও প্রান্তে কোনও নারকীয় ঘটনা ঘটলেই প্রত্যেক রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর তার তীব্র নিন্দা করা উচিত বলে মনে করেন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। এ দেশেও প্রতিবাদ হয়। কিন্তু এখানে প্রতিবাদ হয় রীতিমতো অঙ্ক কষে। ঘটনা হল কোন রাজ্যে কোন রাজনৈতিক দলের সরকার চলছে কার্যত সেটা দেখেই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রী। আরজিকর কাণ্ডের ক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনা দেখা গেল। (Political Double Standards in India)
Selective outrage in India’s political protests based on state government affiliation
যেহেতু বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্যতম শরিক দল তৃণমূল, আর পশ্চিমবঙ্গে তাদেরই শাসন চলছে, তাই আরজিকরের ঘটনা নিয়ে অদ্ভুতভাবে নীরব রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব, তাঁর স্ত্রী তথা সাংসদ ডিম্পল যাদব, প্রবীণ এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, তাঁর কন্যা সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে, শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে, আরজেডির শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদব, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, তালিকা নিঃসন্দেহে আরও লম্বা। তবে দেরিতে হলেও ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
RG Kar Hospital incident
তবে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এই ইস্যুতে মুখ খুললেও তাঁর বক্তব্যে তৃণমূলের তীব্র বিরোধিতার সুর ধরা পড়েনি। আর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যখন নিয়মিত সোচ্চার হতে দেখা যায় কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশকে, তিনিও কিন্তু আরজিকরের ঘটনা নিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে নীরব। ওই যে বললাম, কোন রাজ্যে কোন সরকার রয়েছে সেটা দেখেই প্রতিবাদ হবে!
Political hypocrisy in India
হাথরস থেকে মণিপুর কাণ্ড, অ-বিজেপি দলগুলি দিনের পর দিন ধরে তীব্র আন্দোলন করেছে। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল তারা। সঠিক কাজই করেছিল তারা। যে ঘটনা ঘটেছে সেখানে তার তীব্র বিরোধিতা করাই উচিত প্রত্যেকেরই। তবে আশ্চর্যজনকভাবে সেই সময় বিজেপি বা বিজেপি পন্থী বিশিষ্টরা সেই ঘটনাগুলি নিয়ে কিন্তু মুখ খোলেননি।
Opposition silence on West Bengal incident
ওই যে বললাম, কোন রাজ্যে কোন সরকার চলছে সেটা দেখেই সবাই মুখ খুলতে চান! তবে কি এটাই চলবে দেশজুড়ে? নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে নারকীয় ঘটনার কোনও প্রতিবাদ করা হবে না সব মহল থেকে? সব জায়গাতেই কাজ করবে ভোট অঙ্ক? স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও এসব দেখতে হবে আমাদের? এটাই কি আধুনিক বা বিকশিত ভারতের নমুনা? এই প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে। সবমিলিয়ে আরজিকর ঘটনার পর বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ভূমিকা দেখে বেশ হতাশ সাধারণ মানুষ। প্রতিটি রাজনৈতিক দল যে অঙ্ক কষেই রাজনীতি করে, তা আবার প্রমাণ করে দিল কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের এই নারকীয় ঘটনা।
আরও পড়ুন-
সিবিআই: একাধিক তদন্ত নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট কার্ড কী বলছে?
বাংলায় কিছু ঘটলেই অন্য রাজ্যের প্রসঙ্গ টানা, এই প্রবণতা বন্ধ হবে না?
সত্যিই ‘সেটিং’! এত বড় ঘটনার পরেও ‘চুপ’ কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব?
Politics: Does political affiliation determine protest responses? The silence of key opposition leaders over the RG Kar incident in West Bengal raises questions about double standards and selective outrage in India’s political landscape.