এবার ধর্মচর্চায় ঢালাও ‘অনুমতি’ দেবে সিপিএম? সেলিমের বক্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে

ধর্মচর্চার ‘নিষেধাজ্ঞা’ এবার উঠতে চলেছে? (CPM and religious activities) সিপিএম পার্টি করলে নেতা ও সক্রিয় কর্মীদের ধর্মের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যাবে না। কেউ ধর্মীয় কাজে…

CPM and religious activities CPIM Left Front fails in West Bengal

ধর্মচর্চার ‘নিষেধাজ্ঞা’ এবার উঠতে চলেছে? (CPM and religious activities)

সিপিএম পার্টি করলে নেতা ও সক্রিয় কর্মীদের ধর্মের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যাবে না। কেউ ধর্মীয় কাজে সরাসরি যুক্ত থাকতে পারবেন না। সিপিএম পার্টিতে এমনটাই চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। তবে কী সেই তথাকথিত ‘নিষেধাজ্ঞা’ এবার উঠতে চলেছে?

মহম্মদ সেলিমের মন্তব্যে তাৎপর্য (CPM’s stance on religion)

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসুর ১১১-তম জন্মদিবস পালন করেছে সিপিএম। সেখানে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক  বলতে শোনা গিয়েমহম্মদ সেলিমকে তাৎপর্যপূর্ণভাবেছে,

“জ্যোতিবাবুর বাবা-মা ছিলেন ধার্মিক। তাঁরা লোকনাথ বাবার ভক্ত ছিলেন। জ্যোতিবাবু বহুবার গল্প করতে করতে বলেছেন তিনি নিজে ধর্ম না মানলেও প্রসাদ খেতেন। জ্যোতি বসুর জীবন থেকে এই শিক্ষাই নিতে হবে যে, নির্লিপ্ততা থাকবে, একই সঙ্গে সম্পৃক্ততাও থাকবে।”

ধর্মীয় চর্চার অনুমতি প্রকাশ্যেই দিলেন সেলিম?  (CPM’s religious stance)

তবে কী এভাবেই ধর্মীয় চর্চার অনুমতি প্রকাশ্য অনুষ্ঠান থেকে দিয়েছেন সেলিম? যদি সত্যিই তাই হয় তাহলে কী কারণ রয়েছে সেখানে? উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের ব্যর্থতা অব্যাহত। এই লোকসভা নির্বাচনেও সিপিএম বাংলায় ‘বিগ জিরো’ পেয়েছে। যেখানে যেখানে সিপিএম তথা বামেরা প্রার্থী দিয়েছিল তার মধ্যে একমাত্র মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে মহম্মদ সেলিম দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গে এবার শূন্যের খরা কাটাবে সিপিএমের? (political party and religion)

এছাড়া অধিকাংশ কেন্দ্রে বাম প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অথচ এই লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে এবার শূন্যের খরা কাটাবে সিপিএম, এমন দাবি বহুবার করেছে আলিমুদ্দিন। কিন্তু ভোটের মার্কশিট বলছে সিপিএম তথা বামেরা আবার সুপার ফ্লপ করেছে। তবে কী পরিস্থিতি বদলাতে ধর্মকেন্দ্রিক কর্মসূচির মাধ্যমে সিপিএম মানুষের সান্নিধ্যে এসে, তাঁদের পাশে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে? কারণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে শহর তথা রাজ্য জুড়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দেয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। সেটাই কী কাজে লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে সিপিএম? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে।

সেলিম মন্তব্যে প্রভাব (India politics)

কিন্তু তাতে কী আদৌ লাভ হবে? রাজ্যবাসী তৃণমূলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বহুদিন আগেই বিজেপিকে জায়গা করে দিয়েছে। প্রত্যেকটি নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সরাসরি লড়াই হচ্ছে। বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও বাম বা কংগ্রেস লড়াই চালালেও সার্বিক ভাবে তারা লড়াইতে নেই। এই পরিস্থিতিতে সেলিম যে মন্তব্য করেছেন তার কোনও প্রভাব বাংলার মানুষের মনে আগামী দিনে পড়ে কিনা সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন-

কেন এত গুরুত্বপূর্ণ মোদির এই রাশিয়া সফর?

বাজেটে কল্পতরু হবেন নির্মলা?

মশলা থেকে চায়ের গুঁড়ো, রাসায়নিক মেশানো অব্যাহত!

অস্ট্রিয়ায় মোদীকে স্বাগত বিশেষ নিয়মে! ৪১ বছরের ইতিহাস বদলালো

Politics: Will CPIM lift the ban on religious activities? Selim’s statement sparks debate.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *