১৩৩ বছরে প্রথম! বিরল সম্মান বঙ্গসন্তানের

১৩৩ বছরে প্রথম! বিরল সম্মান বঙ্গসন্তানের

খড়গপুর: শ্রীরামপুরের দেবশ্রী ঘোষের পর এবার কালীঘাটের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়৷ কলকাতায় গবেষণারত এবং কলকাতার ঐতিহ্যবাহী বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর কাল্টিভেশন অব সায়েন্স (আইএসিএস) -এর স্কুল অব কেমিক্যাল সায়েন্সের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর দেবশ্রী পুরস্কারের ৫৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম কোনও ভারতীয় হিসেবে কোয়ান্টাম রসায়নবিদ্যায় তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব কোয়ান্টাম মলিকিউলার সায়েন্স (আইএকিউএমএস)-এর দেওয়া বিজ্ঞান-সম্মান লাভ করেছেন৷ দ্বিতীয় কৃতীর ক্ষেত্রে বছরটা ১৩৩৷ বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক আঙিনায় বাংলার মুখকে আরও একবার আলোকিত করে ‘জিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ আমেরিকা’র (জিএসএ) ‘ফেলো’ হওয়ার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করলেন কালীঘাটের অভিজিৎ৷ ২০২০ সালে ভারতের সেরা বিজ্ঞান সম্মান ‘শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার’ প্রাপ্ত অভিজিৎ ভূপদার্থবিদ্যায় উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মার্কিন মুলুকের যে সম্মান পেলেন, তা ১৩৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম কোনও ভারতীয়র মুকুটে পালক৷

১৮৮৮ সালে দিনের আলো দেখা ‘জিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ আমেরিকা’ নির্বাচনের ভিত্তিতে এবছর বিশ্বের যে ৩০ জন বিশিষ্ট ভূপদার্থবিদকে সম্মানজনক ফেলোশিপ প্রদান করেছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম খড়গপুর আইআইটির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অভিজিৎ৷ খড়গপুর আইআইটির জিওলজি ও জিওফিজিক্স বিভাগের স্কুল অফ এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অভিজিতের গবেষণার মূল বিষয় ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের দূষণ৷ এই বিষয়ে দেশ-বিদেশে গবেষণা চালানো অভিজিৎ ‘শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার’ তো পেয়েছেনই, তারও আগে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পান ‘ন্যাশনাল জিওসায়েন্স অ্যাওয়ার্ড’৷ অভিজিৎ বিলেতের ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ কেমিস্ট্রি’রও ‘ফেলো’৷

আরও পড়ুন: বাস-অটোতে দেদার ভিড়, কিন্তু করোনা খালি ট্রেন-মেট্রোতে! খোঁচা তথাগতর

কালীঘাটে জন্মানো অভিজিতের উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা সাউথ পয়েন্টে৷ তার ওপর আশুতোষ কলেজ থেকে বিএসসি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি৷ এর পরই পাড়ি বিদেশে৷ আমেরিকার কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার অফ সায়েন্স ও পিএইচডি করার পর টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরেট৷ কানাডার অ্যালবার্টা জিওলজিক্যাল সার্ভেতে কিছুদিন ফিজিক্যাল হাইড্রোলজিস্টের চাকরি করার পর দেশে ফিরে খড়গপুর আইআইটিতে শুরু শিক্ষকতা জীবন৷ আর গবেষণার হাত ধরে একের পর এক শৃঙ্গে আরোহণ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + six =