এক সময় চন্দ্রপৃষ্ঠে বইত ম্যাগমা সাগর! চন্দ্রযান-৩-এর তথ্যে মিলল তেমনই ইঙ্গিত

কলকাতা: ইসরোর চন্দ্রযান-৩ মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে নয়া গবেষণায় মিলল চমক৷ বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, অতীতে চাঁদে ছিল একটি “ম্যাগমা সাগর”। এই গবেষণাটি…

chandrajan new

কলকাতা: ইসরোর চন্দ্রযান-৩ মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে নয়া গবেষণায় মিলল চমক৷ বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, অতীতে চাঁদে ছিল একটি “ম্যাগমা সাগর”। এই গবেষণাটি ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে৷ রোভার প্রজ্ঞাণ চাঁদের মাটি বিশ্লেষণ করে যে তথ্য পাঠিয়েছিল, তা বিশ্লেষণ করেই মিলেছে এই রহস্যের সন্ধান। ২০২৩সালের ৩ আগস্ট, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করে তৃতীয় চন্দ্রযানের রোভার৷ একশো মিটার এলাকা জুড়ে ঘুরে বেরিয়ে সেখানকার মাটি সংগ্রহ করে এটি।

চন্দ্রযান-৩, ছিল একটি ল্যান্ডার এবং একটি রোভার। এর আগে, নাসার অ্যাপোলো মিশন এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের লুনা মিশনের মতো অন্যান্য মিশনগুলো প্রধানত চাঁদের কক্ষপথের এবং মধ্যম অক্ষাংশের অঞ্চলে মাটি সংগ্রহ করেছিল।তবে প্রজ্ঞাণ যে ডেটা পাঠিয়েছে সেটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে সংগৃহীত৷ তাতে দেখা গিয়েছে চাঁদের মাটি প্রধানত ফেরোয়ন আনর্থোসাইট (FAN), একটি বিশেষ ধরনের শিলা দ্বারা গঠিত।

পূর্ববর্তী গবেষণাও “চন্দ্র ম্যাগমা মহাসাগর” তত্ত্বকে সমর্থন করে৷ যা প্রস্তাব করে যে চাঁদের প্রাথমিক বিকাশের সময় পুরো মান্টল গলে গিয়ে একটি ম্যাগমা সাগর তৈরি হয়েছিল। এই সাগর ঠাণ্ডা হলে, কম ঘন FAN মাটির উপরের দিকে উঠেছিল এবং সেখান থেকে চাঁদের খোলস গঠিত হয়েছিল, এবং ভারী খনিজগুলো নিচে পড়ে মান্টল গঠন করেছে।

এই তত্ত্ব চাঁদের গঠনের বিষয়টিও ব্যাখ্যা করে, যা বিশ্বাস করা হয় যে দুইটি প্রোটোপ্লানেটের সংঘর্ষ থেকে সৃষ্টি হয়েছিল, যার বড় অংশ পৃথিবী হয়ে উঠেছে এবং ছোট অংশ চাঁদ হয়ে উঠেছে। চাঁদের গঠনকালে তীব্র তাপের কারণে তার মান্টল গলে গিয়ে ম্যাগমা সাগর তৈরি হয়েছিল।