নিউ ইয়র্ক: ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর মহাকাশের এক বিস্ময়৷ বিজ্ঞানীরা তো বটেই, মহাকাশপ্রেমী প্রতিটি মানুষের কাছেই আগ্রহের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু৷ তবে এই ব্ল্যাকহোল নিয়েই এবার আতঙ্কের কথা শোনালেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা৷ তাঁরা বলছেন, পৃথিবীর দিকে হাঁ করে রয়েছে একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল! শুধু তাই নয়, পৃথিবীপানে মুখ করে থাকা এই কৃষ্ণগহ্বর নাকি শক্তিশালী বিকিরণও পাঠাচ্ছে নীল গ্রহের দিকে। যদিও এই ব্ল্যাকহোল কী ভাবে আমাদের নক্ষত্রমণ্ডলকে প্রভাবিত করবে সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন- চাঁদ ও শুক্রর যুগলবন্দির পরে এবার আকাশে একসঙ্গে পাঁচ গ্রহ! কবে দেখা যাবে মহাজাগতিক দৃশ্য?
ব্ল্যাক হোল নিয়ে আমাদের অনেকের মনেই ভ্রান্ত ধারনা রয়েছে। অনেকে আবার খুব অল্প জানি বিস্ময়কর এই মহাজাগতিক বস্তুটি সম্পর্কে। আসলে ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর বা হল মহাকাশের এমন একটি স্থান যেখানে মধ্যাকর্ষণ বল অত্যন্ত শক্তিশালী৷ যেখান থেকে কোন কিছুই বের হতে পারে না। এমনকি আলোর মত তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণও এই প্রচন্ড আকর্ষণ বল ভেদ করে বেরিয়ে আসতে ব্যর্থ।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহাকাশবিজ্ঞানীদের একটি দল একটি নক্ষত্রমণ্ডলকে নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু করেছে। যে নক্ষত্রমণ্ডলের কেন্দ্রে রয়েছে সুবিশাল এই ব্ল্যাকহোল। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ব্ল্যাকহোলটির দিক পরিবর্তন ঘটেছে এবং বর্তমানে এটির মুখ রয়েছে সরাসরি পৃথিবীর দিকে। যদিেও পিবিসি জে২৩৩৩.৯-২৩৪৩ নামের এই নক্ষত্রমণ্ডলটি পৃথিবী থেকে ৬৫৭০ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে।
মহাকাশবিজ্ঞানী লরেনা হার্নান্দেজ এই সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা এই নক্ষত্রমণ্ডলের উপর নজর রাখার কাজ শুরু করেছি।’’ কেন এই নজরদারি, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি৷ হার্নান্দেজ বলেন, ‘‘এই নক্ষত্রমণ্ডল নিজের চরিত্র বদল করছে৷ সেই কারণেই এই নজরদারি। আমরা অনুমান করেছিলেন, এই নক্ষত্রমণ্ডলের কেন্দ্রে থাকা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল দিক পরিবর্তন করেছে। সেটাই সত্যি৷ উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এর মুখ রয়েছে ঠিক পৃথিবীর দিকে। এবং এটি ক্রমাগত আমাদের গ্রহের দিকে বিকিরণ পাঠিয়ে চলেছে।’’
একটি গবেষণায়, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নক্ষত্রমণ্ডলের এই চরিত্র বদল নিয়ে সহমত পোষণ করেছেন। তবে তাঁরা নিশ্চিত নন যে, ঠিক কী কারণে এমনটা ঘটেছে। অধিকাংশ বিজ্ঞানী অবশ্য মনে করছেন, এর পিছনে রয়েছে পিবিসি জে২৩৩৩.৯-২৩৪৩ নামের এই নক্ষত্রমণ্ডলটির সঙ্গে অন্য এক নক্ষত্রমণ্ডলের সংঘর্ষ৷ কৃষ্ণগহ্বরের এই দিক পরিবর্তন পৃথিবী বা এই নক্ষত্রমণ্ডলের উপর ঠিক কী প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য দিতে পারেননি মহাকাশবিজ্ঞানীরা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>