লন্ডন: লন্ডনের লর্ডসের সঙ্গে অদ্ভূতভাবে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির আবেগ৷ এই মাঠে শতরান করেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বাঙালির গৌরব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মাঠেই শনিবার কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামলেন ভারতের আরও এক প্রাক্তন অধিনায়ক ঝুলন গোস্বামী। দুই বাঙালির ক্রিকেট জীবনের সঙ্গেই নিবিড় ভাবে জড়িয়ে রইল লর্ডস।
আরও পড়ুন- ঝুলনকে অনন্য সম্মান CAB-র, ইডেনের সঙ্গে জুড়তে চলেছে চাকদা এক্সপ্রেসের নাম
ইংলন্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটিতে জিতে ইতিমধ্যেই সিরিজ পকেটে পুরেছে হরমনপ্রীতের ভরত৷ শনিবার নিয়মরক্ষার ম্যাচ৷ এদিন ম্যাচের শুরু থেকে সবটাই ঝুলনময়৷ আজকের ম্যাচের পর থেকেই তাঁর নামের পাশে বসে যাবে ‘প্রাক্তন’ শব্দটা। এদিন বোর্ডের পক্ষ থেকে দেশের প্রাক্তন অধিনায়কের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়। সেই সময় ঝুলনের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউর। চোখের জল বাঁধ মানেনি তাঁর৷ কেঁদে ফেলেন তিনি৷ ভারত অধিনায়ককে সামলান ঝুলনই। ঠিক যে ভাবে এত দিন ধরে দলটাকে সামলে এসেছেন।
ঝুলনকে সম্মান জানাতে শনিবার তাঁকেই টস করতে পাঠিয়েছিলেন হরমনপ্রীত। সেখানে ঝুলন বলেন, “ভারতীয় বোর্ড, বাংলার ক্রিকেট সংস্থা, আমার পরিবার, কোচ, অধিনায়কদের ধন্যবাদ। এটা আমার কাছে এক আবেগের মুহূর্ত। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরু করেছিলাম, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই শেষ করছি। সব থেকে বড় বিষয় হল আমরা ২-০-তে এগিয়ে।”
হরমনপ্রীত কেঁদে ফেললেও ঝুলনের মুখে ছিল চওড়া হাসি৷ শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগে ঝুলন বলেন, “ক্রিকেটের মাঠে আবেগের কোনও স্থান নেই। আমি এমনই নিষ্ঠুর৷ ক্রিকেট খেলতেই হবে এবং নিজের সেরাটাও দিতে হবে। স্মৃতি মন্ধানা, হরমনপ্রীতরা ক্রিকেট জীবনে অনেক ওঠানামা দেখেছে। তবে সব সময়ই আমরা একে অপরের পাশে ছিলাম। তবে মাঠে নামার আগে আবেগকে সরিয়ে রাখাই ভাল৷ খেলার সময় চনমনে থাকতে হয়। হরমন এবং স্মৃতি যে ভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা দেখে আমি খুশি। যষ্টিকা, হরলিনের মতো তরুণ ক্রিকেটাররাও ধীরে ধীরে উঠে আসছে। আশা করব ওঁরা আগামী দিনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>