কলকাতা: এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ শুধু ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ রইল না, ছড়িয়ে পড়ল রাজনৈতিক বিতর্কেও। রবিবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পাকিস্তানি ক্রিকেটার হারিস রউফ এবং সাহিবজাদা ফারহানের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।
‘০-৬’-এর ইঙ্গিত
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় দর্শকদের উস্কানির জবাব দিতে গিয়ে হারিস রউফ হাত তুলে ‘০-৬’-এর ইঙ্গিত দেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই দাবি করেছেন, এটি আসলে পাকিস্তানের প্রচারিত সেই ভুয়ো দাবি—অপারেশন সিন্দুর পর ভারতীয় যুদ্ধবিমান নাকি তারা নামিয়ে দিয়েছে।
ফায়ারিং’-এর অঙ্গভঙ্গি India Pakistan cricket controversy
অন্যদিকে, প্রথম ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি করার পর সাহিবজাদা ফারহান ব্যাটকে ‘একেএ-৪৭’ বন্দুকের মতো ধরে ‘ফায়ারিং’-এর অঙ্গভঙ্গি করেন। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয় সেই দৃশ্য। সমালোচকরা বলেছেন, এ ধরনের ইঙ্গিত শুধু অখেলোয়াড়সুলভই নয়, বরং পাকিস্তানি সন্ত্রাসের প্রতীকী পুনরাবৃত্তি।
শিবসেনা (উদ্ধব) নেতা সঞ্জয় রাউত সরাসরি মন্তব্য করেছেন, “পাহালগামে পাকিস্তানি জঙ্গিরা যেভাবে ২৬ জন নিরপরাধকে গুলি করে মেরেছিল, ফারহান সেটাই মাঠে অভিনয় করলেন।” কংগ্রেসের শরদ সরণ প্রশ্ন তুলেছেন, “ভারতকে অপমান করার এই নাটক চলতে দিল কে? যদি প্রধানমন্ত্রী চাইতেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট হত না।”
অমিত মালব্য পাল্টা বিরোধীদের কটাক্ষ
অন্যদিকে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য পাল্টা সুরে বিরোধীদের কটাক্ষ করেছেন। তাঁর কথায়, “যাঁরা পাকিস্তানের সঙ্গে খেলায় আপত্তি তুলেছিলেন, তাঁরাই আবার টিভির সামনে বসে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ‘নাটক’ দেখে হাততালি দিলেন।” আম আদমি পার্টির সৌরভ ভারতদ্বাজও রউফের অঙ্গভঙ্গিকে ‘জাতীয় অপমান’ বলে আখ্যা দেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে ভারত চালায় অপারেশন সিন্দুর, পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে। এর আগে ২২ এপ্রিল পাহালগামে জঙ্গি হামলায় নিহত হন ২৬ জন নিরপরাধ নাগরিক। সেই আবহেই রউফ-ফারহানের এই আচরণ নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
ম্যাচে অবশ্য ক্রিকেটের ময়দানে প্রভাব ফেলতে পারেননি পাক খেলোয়াড়রা। অভিষেক শর্মা ও শুভমন গিলের শতরানের ওপেনিং জুটিতে ভর করে ভারত ৭ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয়।
Sports: A major political controversy has erupted following the India-Pakistan Asia Cup match, with Pakistani cricketers Haris Rauf and Sahibzada Farhan making gestures seen as referencing fake military claims and terrorism. Indian political leaders have strongly condemned these actions as an act of disrespect, suggesting the incident has gone far beyond the boundaries of sportsmanship.










