আমদাবাদ: শুরুটা খুব খারাপ হয়নি৷ একটা সময় বেশ দাপট দেখাচ্ছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা৷ তবে কুলদীপ যাদবের একটি ওভার হয়ে গেল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট৷ ভারতীয় স্পিনারের ঘূর্ণিতে এক ওভারে পড়ল দুটি উইকেট৷ দিলেন মাত্র ৪ রান। এর পর মাত্র ৩৬ রানে ৮টি উইকেট হারিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরল পাকস্তান৷ পুরো ৫০ ওভার ব্যাটও করতে পারল না বাবর আজমরা৷ পাক অধিনায়ক অবশ্য ৭-০ স্কোর লাইনে বদলের প্রত্যাশার কথা শুনিয়েছিলেন। হাসান আলির দাবি ছিল, ঘরের মাঠে ভারত চাপে থাকবে। ভারতীয় বোলিংয়ের শুরুটা যেমন হল, তাতে ৩৫০ স্কোরের আশঙ্কাও ছিল। সব পরিস্থিতি বদলে গেল এক লহমায়।
লক্ষাধিক ক্রিকেট প্রেমীর গর্জনে গমগম করছে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। এমন পরিস্থিতিতে কোনও ক্রিকেটারের নার্ভ ফেল হওয়াটা আশ্চর্যের নয়৷ পাকিস্তান ব্যাটারদেরও আজ তেমনটাই হল। এদিন টস জিতে রোহিত শর্মা ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেই অনেকে অবাক হয়েছিলেন। এর পর পাকিস্তান অধিনায়কও বলেন, তিনি টস জিতলে, তিনিও ফিল্ডিং করতেন! তবে পাকিস্তানের ব্যাটিং শুরু হওয়ার পর রোহিতের সিদ্ধান্ত ভুল মনে হচ্ছিল। প্রথম স্পেলে মহম্মদ সিরাজের বোলিং ছিল হতাশাজনক৷ বুমরাও রান আটকালেও উইকেট আসছিল না। কিন্তু একটা ধাক্কা লাগতেই হুমুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পাকিস্তান।
ভারতীয় বোলারদের প্রত্যাবর্তন ছিল দেখার মতো। ১৫৫-২ থেকে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে গেল পাকিস্তান। অ্যাটাকিং তো বটেই সঙ্গে বুদ্ধেদীপ্ত বোলিং, ক্যাপ্টেন্সি, ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রেও দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত দেখা যায়। শার্দূল ঠাকুর ছাড়া সকলেই দুটি করে উইকেট নেন। এর মধ্যে নিশ্চিতভাবেই জসপ্রীত বুমরার ৭-১-১৯-২ বোলিং উল্লেখযোগ্য। প্রথম স্পেলে উইকেটহীন থাকার পর নতুন স্পেলে ধস নামিয়ে দিলেন।