বিশ্বকাপ নিয়ে আসতে পারলে… অবসরের পর শহরে ফিরে একটাই আক্ষেপ ঝুলনের

বিশ্বকাপ নিয়ে আসতে পারলে… অবসরের পর শহরে ফিরে একটাই আক্ষেপ ঝুলনের

কলকাতা: দীর্ঘ ২০ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে ইতি টেনেছেন তিনি। শনিবার লর্ডসে জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর সোমবার শহরে ফিরলেন ঝুলন গোস্বামী। কলকাতায় ফিরতেই পেয়েছেন চরম ভালবাসা। আবেগ-আপ্লুত হয়ে থাকা ঝুলন নিজের ক্রিকেটীয় কেরিয়ার নিয়ে দারুণ সন্তুষ্ট হলেও একটা যেন কাঁটা কোথাও রয়ে গিয়েছে। আর সেটা বিশ্বকাপ। নিজের শহরে ফিরে এমনটাই জানালেন আমাদের ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’।

আরও পড়ুন- ভারতের জার্সিতে আবেগে ঝুলন, শেষ ম্যাচকে স্মরনীয় করতে লর্ডসকে তুলে আনা হচ্ছে কলকাতায়

মহিলাদের ওয়ানডে ক্রিকেটে সব চেয়ে বেশি উইকেট সংগ্রহকারী বোলার ঝুলন গোস্বামী। অবসরের পর সোমবার শহরে ফেরেন তিনি। তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (সিএবি) প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া। হাজির ছিলেন সিএবির অন্যান্যও কর্তারা। এছাড়াও অনেক খুদে ক্রিকেটার ছিল তাঁকে স্বাগত জানাতে। ঝুলন জানান, বিসিসিআই এবং সিএবি তাঁকে সবসময় সাহায্য করেছে, সমর্থন করেছে। তিনি চোট পেলেও তারা তাঁর ওপর ভরসা রেখেছে, এই জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। তবে নিজের ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে তিনি কিছুটা আক্ষেপের সুরেই বলেন, প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। তবে ২০১৭ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালটা সবথেকে কাছে থাকবে। সেই ট্রফি নিয়ে তিনি যদি শহরে এসে কথা বলতে পারতেন তাহলে আরও বেশি ভালো হত।

এছাড়াও ঝুলন জানান, তিনি খুবই ভাগ্যবান। কারণ যে শীর্ষ থেকে শুরু করেছিলেন, সেখান থেকেই অর্থাৎ লর্ডস থেকেই শেষ করলেন। এর পাশাপাশি নিজের ডেবিউয়ের দিন খুব মনে পড়ছে তাঁর এমনও জানান তিনি। যেদিন প্রথম তিনি জাতীয় দলের জার্সি এবং টুপি পরেছিলেন। কিন্তু ক্রিকেটের মাঠ থেকে অবসর নিলেও তিনি যে এখনই ক্রিকেটকে ছাড়ছেন না তাও স্পষ্ট করে দেন ঝুলন। বলেন, বাংলার ক্রিকেট নিয়ে কাজ করতে চান। গ্রামেগঞ্জে অনেক প্রতিভাবান মেয়েরা ক্রিকেট খেলছে। তাদের পর্যাপ্ত সুবিধা ও পরিকাঠামো প্রদান এবং তাদের নিয়মিত নজরদারিতে রাখার বিষয়ে ভাবতে চান। অবশ্যই সিএবি’র সঙ্গে সব ধারণাগুলি ভাগ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *