সোনম রঘুবংশী মামলায় নয়া মোড়। উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হল তাকে। যদিও সে নিজেই আত্মসমর্পণ করেছে বলে খবর। উত্তরপ্রদেশের নন্দগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করে সোনম। মামলায় আরও ৪ জনকে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামী রাজাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সোনমের বিরুদ্ধে। অনেক টালবাহানার পর সোমবার সকালে আত্মসমর্পন করে সোনম। মেঘালয়ের ডিজিপি ইদাশিশা নোংরাং জানিয়েছেন, সোনম সম্ভবত তার স্বামীকে হত্যা করার জন্য ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করেছিল। ঘটনায় একজনকে উত্তরপ্রদেশ ও আরও দুজন অভিযুক্তকে ইন্দোর থেকে গ্রেফতার করেছে সিট। উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে আকাশ রাজপুতকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়েছে। বিশাল সিং চৌহান (২২) এবং রাজ সিং কুশওয়াকে (২১) গ্রেফতার করা হয়েছে ইন্দোর থেকে। মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলা থেকে আনন্দ কুর্মি (২৩) নামে আর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তরা আরও কয়েকজনের নাম জানিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তারা এও জানিয়েছে যে সোনম তাদের ভাড়া করেছিল।
গত মাসেই বিয়ে করে সোনম ও রাজা। এর পর তারা মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয় যায়। মেঘালয়ের সোহরায় ভ্রমণের সময় নিখোঁজ হয় এই দম্পতি। ফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় পরিবারের সদস্যরা মেঘালয়ে পৌঁছান। এরপর পুলিশের তৎপরতায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। অবশেষে, গত সোমবার ওয়েই সাওডং জলপ্রপাতের নীচে একটি গিরিখাত থেকে রাজার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
ঘটনায় সোনম আত্মপ্রকাশ করলেও এখনও কিছু প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। রাজার দেহ উদ্ধারের পর সেখানে সোনার আংটি এবং চেন পাওয়া যায়নি। সেগুলি চুরি গিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া উঠে আসছে একটি ত্রিকোণ প্রেমের গল্পও। সোনমদের পারিবারিক ব্যবসা ছিল সানমাইকার। ওদের কোম্পানিতেই রাজ নামে একজন কাজ করতেন। তাঁর সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল সোনমের। এমনকী বিয়ের পরেও সেই সম্পর্ক চলছিল বলে অভিযোগ। যদিও এ সম্পর্কে পুলিশ এখনও বিস্তারিত কিছু জানায়নি।











