কলম্বো: দেশের আর্থিক অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে। ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য শ্রীলঙ্কার মানুষ রাজাপক্ষের পরিবারকেই দায়ী করছেন। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষের পদত্যাগের পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কার বিরোধীরা মহিন্দা রাজাপক্ষকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে। এবার সেই আবেদন নিয়ে শ্রীলঙ্কার আদালতে হাজির হয়েছেন এক আইনজীবী।
আবেদনে শ্রীলঙ্কার ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, অবিলম্বে মহিন্দা রাজাপক্ষকে গ্রেফতারের জন্য ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দেওয়া হোক। মহিন্দা রাজাপক্ষে ছাড়াও আর ছয় জনকে গ্রেফতারের জন্য ওই আইনজীবী আবেদন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। কলম্বো ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। রবিবার প্রথমে এক সাংসদ শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়। পরে উত্তেজিত জনতা তাঁকে ঘিরে ফেলেন। তিনি একটি বহুতলে আশ্রয় নেন। সেখান থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শ্রীলঙ্কা। বিক্ষোভের জেরে শ্রীলঙ্কায় আট জনের মৃত্যু হয়। তিন শতাধিক মানুষ আহত হন। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে পদত্যাগ করেন।
বিক্ষুব্ধ জনগণ মহিন্দা রাজাপক্ষের পৈতৃক ভিটাতে আগুন ধরিয়ে দেন। মঙ্গলবার ভোরে উত্তেজিত জনতা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে জড়ো হন। যদিও তার আগেই শ্রীলঙ্কার বিশাল সেনাবাহিনী রাজাপক্ষের পরিবারকে নিয়ে যান। কলম্বোর নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে লুকিয়ে রাখা হয় বলে জানা গিয়েছে। যদিও গুজব উঠতে থাকে, মহিন্দা রাজাপাক্ষে ভারতে পালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, তিনি পালিয়ে যাননি। তাঁকে নিরাপত্তার খাতিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তা সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়নি। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার আদালত মহিন্দা রাজাপক্ষে, তাঁর ছেলে সহ ১৫ জনের দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।