কলম্বো: মহিন্দা রাজাপক্ষের পদত্যাগের পর শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেছে রণিল বিক্রমসিংহ সরকার নিয়োজিত হন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। দেশে ১২ ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করেছেন। পাশাপাশি তিনি দেশবাসীর ওপর জারি করা বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছেন। মন্ত্রী পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
বিক্রমসিংহ শনিবার সকাল ছটা থেকে সন্ধে ছটা পর্যন্ত কারফিউ তুলে নিয়েছেন। সোমবার থেকে শ্রীলঙ্কায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কয়েকঘণ্টার জন্য কারফিউ তুলে নেওয়া হয় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য।
প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। রবিবার প্রথমে এক সাংসদ শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়। পরে উত্তেজিত জনতা তাঁকে ঘিরে ফেলেন। তিনি একটি বহুতলে আশ্রয় নেন। সেখান থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শ্রীলঙ্কা। বিক্ষোভের জেরে শ্রীলঙ্কায় আট জনের মৃত্যু হয়। তিন শতাধিক মানুষ আহত হন। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে পদত্যাগ করেন।
বিক্ষুব্ধ জনগণ মহিন্দা রাজাপক্ষের পৈতৃক ভিটাতে আগুন ধরিয়ে দেন। মঙ্গলবার ভোরে উত্তেজিত জনতা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে জড়ো হন। যদিও তার আগেই শ্রীলঙ্কার বিশাল সেনাবাহিনী রাজাপক্ষের পরিবারকে নিয়ে যান। কলম্বোর নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে লুকিয়ে রাখা হয় বলে জানা গিয়েছে। যদিও গুজব উঠতে থাকে, মহিন্দা রাজাপাক্ষে ভারতে পালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, তিনি পালিয়ে যাননি। তাঁকে নিরাপত্তার খাতিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তা সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়নি। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার আদালত মহিন্দা রাজাপক্ষে, তাঁর ছেলে সহ ১৫ জনের দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
