কিয়েভ: ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, মারিওপোল, চেরনোবিল, সুমির মত একাধিক বড় বড় শহর দখল করার পর এবার রুশ সেনার লক্ষ্য ইউক্রেনের শহরতলী এবং গ্রাম। দিন কয়েক আগেই জানা যায়, ইউক্রেনের দক্ষিণাংশের বেশ কয়েকটি শহরতলী এবং গ্রাম বেহাত হয়েছে ইউক্রেনীয় সেনার এবং সেগুলি এই মুহুর্তে রুশ সেনার দখলে। তার ঠিক দু’দিন পর বুধবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হল, রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বদিকের আরও গভীরে প্রবেশ করেছে এবং ইউক্রেনের পূর্বভাগের বড় শহর ডনবাসের নিয়ন্ত্রণ নিতে ইতিমধ্যেই তারা বেশ কয়েকটি গ্রাম দখল করেছে।
ইউক্রেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, রুশ বাহিনী খারকিভ অঞ্চলের ভেলিকা কোমিশুভখা এবং জাভোদি থেকে ইউক্রেনীয় সেনাকে বিতাড়িত করেছে। এছাড়াও পূর্বভাগেরই আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল জারিচন এবং নোভোতোসকিভস্কের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে তারা।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে টানা দু’দিন ধরে ইউক্রেনের সীমান্তের কাছাকাছি প্রতিবেশী মালদোভার বিচ্ছিন্নতাবাদী এলাকায় বোমাবর্ষণ হয়েছে। ওই এলাকায় দুটি শক্তিশালী রেডিও অ্যান্টেনা রয়েছে এবং জানা যাচ্ছে লাগাতার দুদিন ধরে ওই অ্যান্টেনাগুলির খুব কাছেই বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তবে কে বা কারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের বাকি সমস্ত হামলার মতোই এই হামলার পিছনে রয়েছে রাশিয়ার হাত। তবে এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার তরফ থেকে এই প্রসঙ্গে কোনও সরকারি বিবৃতি জারি করা হয়নি বলে খবর।
অন্যদিকে বুধবার ইউক্রেন রাশিয়া সংঘাতে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাত। জানা যাচ্ছে, রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত প্রাকৃতিক গ্যাস জায়ান্ট ‘গ্যাজপ্রেম’ বুধবার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, এপ্রিল থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের জন্য পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়ার তরফ থেকে কোনও অর্থ প্রদান করা হয়নি। আর তাই তারা বুধবার থেকে এই দুই দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে। এর সঙ্গেই ওই বিবৃতিতে তারা সতর্ক করেছে যে এইভাবে যদি ইউরোপীয় দেশগুলি গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে এমন অস্বাভাবিকতা ডেকে আনে সেক্ষেত্রে ইউরোপের গ্রাহকদেরই বিপাকে পড়তে হবে। তবে ঠিক কি কারণে অর্থ প্রদান বন্ধ করেছে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত ইউরোপিয়ান এই দুই দেশ তা এখনও স্পষ্ট নয়।