টোকিও: বুধবার রাতে বিরাট ভুমিকম্পে কেঁপেছে জাপান। কিন্তু আফটার শকের মাত্রা মূল কম্পনের থেকেও বেশি ছিল! ভুমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ধরা পড়েছিল ৭.১। এদিকে রাতভর যে আফটার শক, তার মাত্রা ৭.৩! শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, টোকিও, ফুকুশিমা সহ জাপানের একাধিক অঞ্চল মিলিয়ে প্রায় ১০০-র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন এবং ইতিমধ্যে ৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলছে।
আরও পড়ুন- সুযোগ এলেও ছাড়েননি দেশ, মায়ের ওষুধ খুঁজতে গিয়ে রুশ বোমায় ছিন্নভিন্ন ভ্যালেরিয়া
কম্পনের মাত্রা যে তীব্র ছিল তা আলাদাভাবে বলার অপেক্ষা রাখে না। এই কম্পনের ফলেই লাইনচ্যুত হয় বুলেট ট্রেন। প্রায় ধসে পড়েছে একাধিক ঘর-বাড়ি। এই মুহূর্তে পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ। এদিকে বুলেট ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে প্রায় ৭৫ জন দীর্ঘক্ষণ আটকা পড়েছিলেন। তবে সেখানে কারোর মৃত্যু হয়নি। এই বিশাল ভুমিকম্পের জেরে সুনামি হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এখনই প্রায় ১ মিটার উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকত এলাকায়। তাই যে কোনও মুহূর্তে যে তা ভয়াবহ আকার নিতে পারে সেটা একেবারে স্পষ্ট। সমুদ্র তলদেশের ৩৬ মাইল নীচে এই কম্পনের সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। জাপান মেটারোলজিকাল এজেন্সি এই খবর দিয়েছে।
অতীতে বেশ কয়েকবার জাপানে ভয়ানক ভুমিকম্প হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতিও অনেক বেশি হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালের ভয়াবহ কম্পনে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিল জাপান। তখন কম্পনের মাত্রা ছিল প্রায় ১০-এর কাছকাছি। সেই তুলনায় এবারের মাত্রা কম হলেও আরও ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ জাপানের উত্তর-পশ্চিম এলাকার খবর এখনও মেলেনি।