এবার টুইটারও এলন মাস্কের, জানেন আর কোন কোন সংস্থার মালিক তিনি?

এবার টুইটারও এলন মাস্কের, জানেন আর কোন কোন সংস্থার মালিক তিনি?

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েকদিন ধরে চলা যাবতীয় জল্পনায় ইতি টেনে শেষমেষ টুইটার কিনে নিলেন টেসলার কর্ণধার এলন মাস্ক। বিগত কয়েকদিন ধরে কানাঘুষায় শোনা যাচ্ছিল যে, টুইটারের শেয়ার কিনতে পারেন তিনি। যদিও এই ব্যাপারে কেনার আগে পর্যন্ত মুখ খুলতে দেখা যায়নি দুই পক্ষের কাউকেই। শেষে সোমবার রাতে টুইটারের শেয়ার কেনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে টুইটারের মাধ্যমেই অনুরাগীদের এই খবর নিজে জানিয়েছেন মাস্ক। জানা যাচ্ছে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে টুইটার কিনছেন মাস্ক। চলতি বছরের মধ্যেই এই চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে খবর। অন্যদিকে টুইটার কেনার পরেই বড়সড় বার্তা দিয়েছেন মাস্ক। সোমবার রাতে তিনি নিজেই টুইটারে একটি বার্তা দিয়ে বলেন, বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ কোনওভাবেই আর বরদাস্ত করা হবে না।

কিন্তু এ তো গেল তাঁর একটি সংস্থার কথা। কিন্তু বাস্তবে এই ধরনের আরও একাধিক সংস্থার মালিক মাস্ক। অত্যাধুনিক গাড়ি থেকে শুরু করে স্পেস স্টেশন, সর্বক্ষেত্রেই অবাধ বিচরণ এই ধনকুবেরের। জন্মসূত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দা এলন। পরে যদিও কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেছেন তিনি। ১৯৯৫ সালে তিনি প্রথম একটি সফটওয়্যার সংস্থা খোলেন যার নাম ছিল Zip2। পরে অবশ্য ১৯৯৯ সালে তিনি এই সংস্থাটি বিক্রি করে দেন এবং রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান। এর পরেই তিনি চালু করেন আর একটি জনপ্রিয় সংস্থা  X. com। পরে এই সংস্থাটি পরে PayPal-এর সঙ্গে যুক্ত হয় এবং তখন X. com-এর নাম পরিবর্তন হয়ে হয় PayPal। এই সংস্থাও অল্পদিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। এর কয়েক বছর বাদেই ইলন মাস্ক চালু করেন তাঁর সবথেকে জনপ্রিয় সংস্থা SPeceX এবং তারপরেই তিনি টেসলা সংস্থার CEO হন। টুইটারের আগে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় তিনটি সংস্থা PayPal, SpeceX এবং টেসলা মোটরর্স এলন মাস্কের মালিকানার অধীন ছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল টুইটারও।

তবে এই সমস্ত জনপ্রিয় সংস্থা ছাড়াও আরও বেশ কিছু অদ্ভুত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এলন। 2016-এর শেষের দিকে এলন মাস্ক ‘বোরিং কম্পানি’ নামে একটি সংস্থা চালু করেন যার কাজ ছিল টানেলিং এবং নির্মাণ। এই সময় তিনি ঘোষণা করেছিলেন লস এঞ্জেলেসের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্যই তিনি এই সংস্থা চালু করেছেন। ২০১৭ সালের মে মাসে এলন মাস্ক আরও একটি অদ্ভুত সংস্থার কথা ঘোষণা করেন যাদের কাজ ছিল মানুষের মস্তিষ্কের ওপর গবেষণা চালানো। ওই সংস্থা মূলত মানুষের মস্তিষ্ক এবং কম্পিউটারের সঙ্গে একটি মেলবন্ধন তৈরি করার চেষ্টা করছিল। তবে এই সমস্ত সংস্থার কারণেই খুব অল্পসময়ের মধ্যেই তিনি বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন এলন। ২০১৬-এর এপ্রিল মাসে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা তাঁকে ৩৭তম ধনী আমেরিকান ব্যক্তির খেতাব জিততে সাহায্য করেছিল। তবে বলাই বাহুল্য এই কয়েক বছরে সেই সম্পত্তির পরিমাণ আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসঙ্গে বিশ্বজুড়ে আরও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন এলন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =