অফিস টাইমে কর্মীদের নমাজে বাধা, চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ পাকিস্তানে!

অফিস টাইমে কর্মীদের নমাজে বাধা, চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ পাকিস্তানে!

 করাচি: কোভিড-১৯ অতিমারি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বেশিরভাগ দেশই চীনের ওপর অসন্তুষ্ট। কেউ কেউ তা প্রকাশ্যে ব্যক্ত না করলেও অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা এবং ইউরোপের কিছু দেশ সর্বসমক্ষে চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এদিকে লাদাখ সীমান্তে চীনা অনুপ্রবেশের ঘটনায় ভারতের সঙ্গেও তাদের বৈরিতা বাড়ছে। আজই (৩০ জুন) কেন্দ্র সরকার থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একসঙ্গে ৫৯টি চাইনিজ মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই তালিকায় প্রথম নামটিই হল অত্যন্ত জনপ্রিয় ‘টিকটক’। এদিকে অধিকাংশ ভারতীয় মনে করে চীনের সঙ্গে আঁতাঁত রয়েছে পাকিস্তানের। এই ধারণা সত্যি বা মিথ্যা যাই হোক না কেন, সাম্প্রতিক এক ঘটনা অবশ্যই ওই দুই দেশের সম্পর্কের জন্য লাভজনক হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও তুমুল ভাইরাল হয়েছে। তাতে এক পাকিস্তানি মুসলিম ব্যক্তি দাবি করেছেন, পাকিস্তান স্থিত চাইনিজ সংস্থাগুলি অফিস চলাকালীন কর্মীদের নমাজ পড়া নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তিনি স্বদেশের মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন যাতে চীনের সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সবাই আওয়াজ তোলে এবং তাদের স্মরণ করিয়ে দেয় পাকিস্তান তাদের মালিকানাধীন নয়। এবং ওখানে কাজ করতে গেলে ওখানকার নিয়ম পালন করে চলতে হবে। ওই মুসলিম ব্যক্তি বলছেন, ‘আমরা নমাজ অগ্রাহ্য করতে পারি না। এদিকে চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ও রয়েছে মানুষের। এখন বিষয়টা আত্মসম্মানের হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের সিংহভাগই বেশ কিছুদিন ধরে চীনের ওপর খাপ্পা। কারণ বছরখানেক আগে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরকার সে দেশে পুরুষদের দাড়ি রাখা এবং মেয়েদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। এই ফতোয়া তবু নিজের দেশের মধ্যে ছিল। এবার মুসলিম দেশ পাকিস্তানের মানুষদেরই নমাজ পড়তে বাধা দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসায় শুরু হয়েছে তুমুল হইচই। প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের জীবনে পাঁচটি অবশ্যপালনীয় কর্তব্যের মধ্যে একটি হল নমাজ। সেখানেই বাগড়া দিচ্ছে চীনা কোম্পানিগুলি। দুই দেশের সম্পর্কে এর কোনও প্রভাব পড়ে কি না এখন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four − 2 =