মাস্ক পরা ছাড়াও একাধিক নিয়মে খুলল এভারেস্টের দরজা!

মাস্ক পরা ছাড়াও একাধিক নিয়মে খুলল এভারেস্টের দরজা!

 
কাঠমাণ্ডু: করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় একবছর বন্ধ থাকার পর আবার পর্বতারোহীদের মাউন্ট এভারেস্টে চড়ার অনুমতি দিল নেপাল সরকার। আপাতত নেপাল সরকারের তরফে ৩০০ পর্বতারোহীকে এভারেস্টে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নেপাল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে পর্বতারোহীর সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে এভারেস্টে চড়তেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷

মাস্ক পরা ছাড়াও এভারেস্টে চড়ার ক্ষেত্রে পর্বতারোহীদের একাধিক নিয়ম মানতে হবে। এভারেস্ট অভিযানের আগে প্রত্যেক পর্বাতারোহীকে কোভিড টেস্ট করাতে হবে। এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে থাকবে মেডিকেল টিম। সংক্রমিত পর্বতারোহীদের চিকিত্সার দায়িত্ব থাকবে সেই টিমের ওপর। এবার থেকে পর্বতারোহনের সময় একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করতে পারবেন না। দূর থেকেই তাঁদের হাত জোড় করে নমস্কার করতে হবে। মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত মাউন্ট এভারেস্টে পর্বতারোহনের মরশুম চলে। এবার এই মরশুমে মাত্র ৩০০ জন পর্বতারোহী এভারেস্টে চড়ার অনুমতি পাবেন। তাও এবার কোনওরকম জমায়েত করার সুযোগ নেই।

যে কোনও পর্বতারোহীকে কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর-এ কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট অথবা টিকাকরণের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। নেপালের পর্যটন বিভাগ তাদের দেশের পর্যটন শিল্প বাঁচানোর চেষ্টা করছে৷ এমনিতেই গত এক বছরে দেশে অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে৷ তাই চলতি বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ উপেক্ষা করেই তারা এভারেস্টে আরোহন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নেপালের তিন কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ১৫ লক্ষ মানুষ গত বছর করোনার জন্য কাজ হারিয়েছেন।

এভারেস্ট জয় করতে আসা পর্বতারোহীদের ওপর নেপালের বহু মানুষের জীবিকা নির্ভর করে। গত বছর করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় মাউন্ট এভারেস্টে আরোহন বন্ধ ছিল।  এই এক বছরে নেপালের পর্যটন শিল্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এমনকি পর্বতারোহনে অন্যদের সবরকম সহায়তা করা শেরপারাও গত এক বছর ধরে কাজ হারিয়ে বাড়িতে বসেছিলেন। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই তাঁরা নিজেদের গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন এবং অনেকে আবার চাষাবাদ করে দিনযাপন করছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা আবার কাজে ফিরতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × two =