জানেন কী এই দেশে নিষিদ্ধ ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ?

আজ বিকেল: ভাবতে পারেন মন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যেই না হোয়াটসঅ্যাপ চেক করতে গেলেন, তখনই বিপত্তি। অ্যাপটা খুলছেই না। ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ও উধাও। টুইটার অ্যাকাউন্টও এরর দেখাচ্ছে। মাথা তো যন্ত্রণা শুরু করে দেবে। বসের মিটিং কখন জানা হল না, ফোন তো এনগেজ হয়েই আছে। গ্রুপে একটু চিটচ্যাটের দরকার ছিল তাও হল না। যাইহোক

জানেন কী এই দেশে নিষিদ্ধ ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ?

আজ বিকেল: ভাবতে পারেন মন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যেই না হোয়াটসঅ্যাপ চেক করতে গেলেন, তখনই বিপত্তি। অ্যাপটা খুলছেই না। ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ও উধাও। টুইটার অ্যাকাউন্টও এরর দেখাচ্ছে। মাথা তো যন্ত্রণা শুরু করে দেবে। বসের মিটিং কখন জানা হল না, ফোন তো এনগেজ হয়েই আছে। গ্রুপে একটু চিটচ্যাটের দরকার ছিল তাও হল না। যাইহোক এসব নিয়ে মন খারাপ করে লাভ নেই তড়িঘড়ি টিভিটা খুলন দেখবেন খবরে বলচে অনিবার্য কারণ বশত আজ থেকে সমস্ত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট মায় গুগলও দেশবাসীর জন্য বন্ধ হয়ে  গিয়েছে, সৌজন্য সরকারি নির্দেশিকা। এমন কিছু অবান্তর মনে হলেও যদি ঘটে তাহলে গোটা দেশে উঠবে প্রতিবাদের ঝড়। কিন্তু জানেন কী গত এক বছর ধরে এই পরিস্থিতি সহ্য করে যাচ্ছে আফ্রিকার অখ্যাত দেশ চাডে। এই দেশের(চাডে) মানুষরা গত বছর ২৮ মার্চ থেকে কোনওরকম সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংসাইট এবল করতে পারে না।

সেখানকার ক্ষমতাসীন সরকার এক নায়কতন্ত্র চালানোর চেষ্টা শুরু করে। প্রতিবাদী জনগণ যেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করল তখনই তাদের গ্রেপ্তার করে চলল গুম খুন। এভাবে দেশের বহু প্রতিবাদী মুখকে মিলিয়ে যেতে দেখে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ল সর্বত্র। একটা সময় পর আটক প্রতিবাদীদের উপরে হওয়া নারকীয় অত্যাচারও প্রকাশ্যে চলে আসতেই সবাই জানতে পারল কি চলছে। সরকারবিরোধী জনমত গঠন হতে দেখেই সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে কোপ পড়ে। সরকারি তরফে ঠিক হয়, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্য়াপ, টুইটার সব বন্ধ করে দেওয়া হবে। তেমনই ঘটে, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে এহেন সরকারি বিধি, আর তাই সহ্য করা ছাড়া উপায় নেই। শিক্ষিত সুশীল সমাজ থেকে ছাত্রযুব সবাই প্রায় কণ্ঠহীন ভাবেই একবছর ধরে সময় কাটাচ্ছেন।

মিডিয়ার কাছে অনুরোধ উপরোধ গেলেও বিষয়টি নিয়ে কোনও খবর হয়নি। নেতামন্ত্রীর কাছেও তদ্বির হয়েছে কিন্তু সুফল মেলেনি। কেউই সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করতে নারাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *