যুদ্ধ আবহে ন্যাটোয় যোগদান ফিনল্যান্ডের, একই পথে হাঁটছে সুইডেন

যুদ্ধ আবহে ন্যাটোয় যোগদান ফিনল্যান্ডের, একই পথে হাঁটছে সুইডেন

যুদ্ধ আবহেই আরও কোণঠাসা রাশিয়া। প্রায় ৮০ দিন ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের মধ্যেই এবার রাশিয়ার প্রতিবেশী আরও একটি দেশ ফিনল্যান্ড সরকারিভাবে ঘোষণা করল ন্যাটোয় যোগদানের কথা। জানা যাচ্ছে, ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন এবং প্রেসিডেন্ট  সাউলি নিনিস্তো এই প্রসঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, ন্যাটোর সদস্যপদ গ্রহণ করতে তাঁরা আগ্রহী। ইতিমধ্যেই সমস্ত কথা পাকাপাকি ভাবে হয়ে গিয়েছে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহ থেকে সদস্যপদ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

ভৌগলিক দিক দিয়ে দেখতে গেলে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ হল ফিনল্যান্ড। ইউক্রেন এবং রাশিয়া সংঘাতের মধ্যেই দিন কয়েক আগে খবর মেলে ফিনল্যান্ড ন্যাটোয় যোগ দিতে ইচ্ছুক, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। এই খবর প্রকাশে আসতেই রাশিয়ার তরফ থেকে একের পর এক হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ফিনল্যান্ডকে। জানানো হয় ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন এই দুই দেশ যদি ন্যাটোতে যোগ দেয় তাহলে তার ফল ভালো হবে না। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করার হুঁশিয়ারিও দেয় মস্কো। কিন্তু রাশিয়ার কোন হুঁশিয়ারিতেই কাজ হয়নি। মস্কোর হুঙ্কারকে কার্যত অবজ্ঞা করে রবিবার সরকারি তরফে ফিনল্যান্ডের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় যে তারা যোগ দিতে চলেছে ন্যাটোতে।

জানা যাচ্ছে যবে থেকে ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, তবে থেকেই ন্যাটোর সদস্য পদ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ফিনল্যান্ড। একই কারণে সুইডেনও ফিনল্যান্ডের দেখানো পথেই হাঁটছে এবং সেক্ষেত্রে এই দেশেরও ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে আলোচনা চলছে বলে খবর। এমতাবস্তায়  আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন রাশিয়ার হুঁশিয়ারি অবজ্ঞা করে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন যদি ন্যাটোতে যোগদান করে তাহলে তাদের অবস্থাও ইউক্রেনের মত হতে পারে। প্রসঙ্গত ন্যাটোর সদস্য পদকে কেন্দ্র করেই ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে প্রথম বিরোধ বাধে এবং পরে তা যুদ্ধের রূপ নেয়।

 অন্যদিকে জানা জানা যাচ্ছে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে তুরস্ক। ইতিমধ্যেই এই দেশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন যদি ন্যাটোতে যোগদান করে তাহলে তাদের সে ব্যাপারে আপত্তি রয়েছে। এর অন্যতম কারণ হল এই দুটি দেশে কুর্দিশ জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে মদত দিয়ে আসছে এবং এ ব্যাপারে এর আগেও প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে তুরস্ককে। তুরস্ক এ প্রসঙ্গে জানিয়েছে এই ভাবে জঙ্গিদের সাহায্য করা চলবে না এবং সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর যাতে তাদের নিজেদের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না দেয় তা নিশ্চিত করতে হবে আগে। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনার টেবিলে বসতে চলেছে সুইডেন ফিনল্যান্ড এবং তুরস্ক। সেখানেই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − four =