স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার নিয়ে জ্বলছে ফ্রান্স

ফ্রান্স: স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার নিয়ে গত কদিন ধরে জ্বলছে ফ্রান্স৷ ২০০৮ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৪২ বছরের ভিনসেন্ট ল্যান্বার্ট হাসপাতালে নিঃসাড় পড়ে রয়েছেন। তাঁর মস্তিষ্ক অকেজো৷ তাঁর স্ত্রী র্যাচেল চাইছেন, তাঁর মুখ থেকে খাবারের নল সরিয়ে ফেলা হোক। ভিনসেন্টের বাবা-মা চান, ছেলে বেঁচে থাক। মামলা গড়ায় ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত পর্যন্ত। আদালত প্রাক্তন মনোরোগের নার্স ভিনসেন্টের

স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার নিয়ে জ্বলছে ফ্রান্স

ফ্রান্স: স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার নিয়ে গত কদিন ধরে জ্বলছে ফ্রান্স৷ ২০০৮ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৪২ বছরের ভিনসেন্ট ল্যান্বার্ট হাসপাতালে নিঃসাড় পড়ে রয়েছেন। তাঁর মস্তিষ্ক অকেজো৷ তাঁর স্ত্রী র‌্যাচেল চাইছেন, তাঁর মুখ থেকে খাবারের নল সরিয়ে ফেলা হোক। ভিনসেন্টের বাবা-মা চান, ছেলে বেঁচে থাক। মামলা গড়ায় ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত পর্যন্ত। আদালত প্রাক্তন মনোরোগের নার্স ভিনসেন্টের লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া জন্য ফ্রান্সের আদালতের রায়কে বজায় রেখেছে।

তবে সেসময় তা করা হয়নি নিরাপত্তার কারণে। কারণ ভিনসেন্টের বাবা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাঁর ছেলেকে অরহরণ কার হতে পারে। এখন একটি মেডিকেল টিম আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার কাজ শুরু করেছে।
এই মামলা নিয়ে তোলাপড়া ফ্রান্স। সেখানে স্বেচ্ছামৃত্যু নিষিদ্ধ। তবে যেসব রোগীর সেরে ওঠার কোনও সম্ভবনা নেই, তাদের গভীর ঘুমের ওষুধ দেওয়ার অনুমতি রয়েছে ডাক্তারদের।

‘আই সাপোর্ট ভিনসেন্ট’ ওয়েবসাইটে ভিনসেন্টের মায়ের আবেদনের পর প্রায় দেড়শো সমর্থক জড়ো হন পূর্ব ফ্রান্সের রেইমসের ওই হাসপাতালে। পরিবারের আইনজীবীরা ফরাসি প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদনে বলেছেন, আপনি কিছু না করলে আগামি সপ্তাহে ভিনসেন্ট মারা যাবে। আপনিই শেষ ভরসা। সোমবার বাবা-মার তরফে তিনটি নতুন আপিল করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =