একদম লাস্ট কয়েক মিনিটে..(Hassan Nasrallah Killed Hezbollah Leader)
দিল্লি: হিজবুল্লাহর লিডার নাসারাল্লাহকে কিভাবে খতম করল ইসরাইল?একদম লাস্ট কয়েক মিনিটে কী ঘটেছিল?জানেন, কোন আবরণে নিজেকে ঢেকে রাখতেন হিজবুল্লাহ প্রধান? মৃত্যুর পর কেন নাসারাল্লার দেহে ছিঁটে ফোঁটাও ক্ষতচিহ্ন ছিলনা?নাসারাল্লাহকে শেষ করতে একটা মোক্ষম অস্ত্রে ভরসা রেখেছিল ইসরাইলি সেনা।সামনে এলেন কাশেম,নাসারাল্লাহর বডি ডাবল নাকি?
ইসরাইল ধন্দে পড়ে যাবেনা তো? কাশেমের সঙ্গে কিন্তু নাসারাল্লাহর বিরাট মিল। কিন্তু কে এই হাশেম? বলবো। তার আগে জানাবো, লাস্ট মোমেন্টে মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা হিজবুল্লা লিডারের সাথে কি করেছিল ইসরাইল?
বাঙ্কারে আশ্রয় (Circumstances Surrounding Nasrallah’s Death)
তারিখ – চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর। রাজধানী বেইরুটের দক্ষিণে দহিয়ার একটি বহুতলের নীচে বানানো বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন নাসরাল্লাহ। মাটির কয়েক ফুট নীচে থাকা সেই বাঙ্কারকে চিহ্নিত করে আইডিএফ। তার পর সেই বহুতলের উপর একের পর এক বোমাবর্ষণ করে তারা। কয়েক মিনিটে ৮৫টি এক টনের বোমা ফেলা হয় ওই বহুতল লক্ষ্য করে।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাসরাল্লা এবং হিজ়বুল্লা ডেরা গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য ‘জিহিইউ-৩১ জেডিএএম’ এবং ‘স্পাইস ২০০০’ বোমা ব্যবহার করেছে ইজ়রায়েল। প্রথম বোমাটি বানিয়েছে আমেরিকা। প্যালেস্টাইনে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইজ়রায়েলকে এই বোমা সরবরাহ করে আমেরিকা। ‘স্পাইস ২০০০’ বোমাটি তৈরি করেছে ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থা। বোমার অভিঘাত এতটাই ছিল যে সাময়িক ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।
এরপরই ইসরাইলি সেনার হামলায় লেবাননের রাজধানী বেইরুটের দক্ষিণ দিকের একটি শহরতলি তৈরি গহ্বরের কাছেই একটি বাঙ্কারের ভিতর থেকে উদ্ধার হল হিজ়বুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার দেহ। কিন্তু রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, হিজবুল্লা প্রধানের দেহে তেমন কোনও ক্ষতচিহ্নই ছিল না। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ইজ়রায়েলের রকেট হামলায় নিহত হননি নাসরাল্লা? মনে করা হচ্ছে, খুব সম্ভবত পার্শ্ববর্তী এলাকায় হামলার অভিঘাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হিজ়বুল্লা যোদ্ধা নাসরাল্লা। আর তার জেরেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
লোক চক্ষুর অন্তরালে (Implications for Hezbollah & Lebanon)
কিন্তু হিজবুল্লাহ প্রধান নাসার আল্লার উপর কীসের এত রাগ ইসরাইলের?
আসলে, ৩২ বছর ধরে হিজ়বুল্লার প্রধান ছিলেন নাসরাল্লা। তাঁর জন্যই ২০০০ সালে ইজ়রায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবানন ছাড়তে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয়, এই নাসরাল্লার নেতৃত্বেই ২০০৬ সালে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ৩৪ দিন ধরে হিজ়জবুল্লা লড়াই জারি রেখেছিল। তারপর থেকেই তক্কে তক্কে ছিল নেতানিয়াহুর সেনা। এদিকে বহু বছর ধরেই তিনি থাকছিলেন লোক চক্ষুর অন্তরালে। কারণ একটাই, ইসরাইল তাকে যখন তখন হত্যা করতে পারে। এই ভয়ে নাসারাল্লাহ কয়েক বছর ধরেই আর জনসমক্ষে আসতেন না। কিন্তু তারপরেও শেষ রক্ষা হলো না।
নঈম কাশেম (Naim Qassem)
তবে, লড়াই থামছেনা। হাসান নাসরাল্লার মৃত্যু হলেও ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে হিজ়বুল্লা। এই ঘোষণা করেছেন লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্যতম শীর্ষনেতা নঈম কাশেম।
নাসরাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তাঁর তুতোভাই হাশেম সাফি আল দিন। হিজ়বুল্লার কর্মসমিতির প্রধান হিসাবে হাশেম সংগঠনের তরফে রাজনৈতিক বিষয়গুলো দেখতেন। গত তিন দশক ধরে শিক্ষা, অর্থনীতি-সহ সংগঠনের অসামরিক কার্যকলাপও দেখাশোনা করেছেন হাশেম। গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অভিযানগুলোর পরিকল্পনার পাশাপাশি ধর্মীয় কার্যকলাপগুলোও পরিচালনা করতেন। তাঁদের চেহারাতেও অদ্ভুত মিল। তরুণ বয়সে একই সঙ্গে দু’জনে হিজ়বুল্লায় যোগ দিয়েছিলেন। দু’জনেই তার পরে ইরানে একসঙ্গে ধর্মশিক্ষা নিতে যান। ২০১৭ সালে আমেরিকা কাশেমকে জঙ্গি ঘোষণা করে। একই বছরে সৌদি আরব তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল।
নাসরাল্লার মৃত্যুর পরে সংগঠনের কার্যনির্বাহী সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় সেই কাশেমকে। তাহলে কী তিনিই এবার হিজবুল্লাহর মাথায় বসবেন? এই নিয়েই শুরু জোর জল্পনা। বরং এদিন তাঁর বক্তৃতার পরে হিজ়বুল্লার পরবর্তী নেতা নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন..
হিজবুল্লাহর গেরিলা বাহিনীর আলাদা তাকত, মাটির নীচে আস্তানা! ছুঁলেই বিপদ
বাংলাদেশ থেকে উঠে গেল দুর্গাপূজো? ‘টিট ফর ট্যাট নীতি’ মোদী সরকারের
World – Hassan Nasrallah Killed Hezbollah Leader : Hezbollah leader Hassan Nasrallah’s body recovered from bombed bunker. Get latest updates on Middle East tensions, implications & reactions to Nasrallah’s death.