Iran Israel Conflict
কলকাতা: দাউ দাউ করে জ্বলছে মধ্যপ্রাচ্য৷ ষষ্ঠ দিনে পা দিল ইরান-ইসরায়েলের সামরিক সংঘাত৷ এর মাঝেই নজিরবিহীন হাইপারসনিক মিসাইল হামলার দাবি করল ইরান। বুধবার ভোররাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) জানায়, ‘অপারেশন অনেস্ট প্রমিস ৩’-এর ১১তম দফায় ব্যবহার করা হয়েছে Fattah-1 হাইপারসনিক মিসাইল।
‘‘দখলদার অঞ্চলের আকাশ আজ আমাদের হাতে’’
IRGC-র বক্তব্যে স্পষ্টতই উঠে এসেছে একরাশ আগ্রাসন৷ তাদের বক্তব্য-“দখলকৃত অঞ্চলের আকাশপথ আজ আমাদের নিয়ন্ত্রণে।” এমন দাবি শুধু প্রচার নয় বরং সামরিক দিক থেকেও এই সংঘর্ষের গভীরতা বাড়িয়ে দিল।
খামেনেইর ঘোষণা: “এবার করুণা নয়, প্রতিশোধ” Iran Israel Conflict
এই হামলার পরেই একের পর এক বার্তা প্রকাশ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই। তিনি স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন, “লড়াই শুরু হয়েছে। এবার জায়নবাদী সন্ত্রাসবাদীদের কোনও করুণা নয়।” তাঁর বক্তব্যে যুদ্ধ এবার দীর্ঘতর ও নির্মম হওয়ারই ইঙ্গিত মিলেছে।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া: “আমরা জানি সে কোথায় লুকিয়ে আছে”
ইরানের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও চড়া সুরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। Truth Social-এ তিনি লেখেন, “আমরা ঠিক জানি ওই তথাকথিত ‘সুপ্রিম লিডার’ কোথায় আছে। এখনই তাকে হত্যা করব না, তবে আমাদের ধৈর্য শেষের পথে।” পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, “সাধারণ নাগরিক বা মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা আমরা সহ্য করব না। এখনই চাই ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।”
রাতভর আক্রমণ, মিসাইল-ড্রোনে কাঁপল ইসরায়েল
মঙ্গলবার গভীর রাতে, রাত ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ ইরানের তরফে প্রায় ১৫টি মিসাইল ছোঁড়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আসে দ্বিতীয় দফা হামলা-আবার ১০টি মিসাইল। একাধিক শহরে বাজে সতর্কতা সাইরেন। কোনও বড় হতাহতের খবর না থাকলেও তেল আবিবের একটি পার্কিং লটে আগুন ধরে যায়, বহু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডেড সি অঞ্চলে ড্রোন হামলার সতর্কতা জারি করে ইসরায়েলি সেনা।
ইসরায়েলের পাল্টা ধাক্কা: ফের নিশানা তেহরান ও কারাজ
মিসাইল হানার ঠিক পরেই ইসরায়েল পাল্টা অভিযান শুরু করে। তেহরানের ১৮ নম্বর জেলার বাসিন্দাদের তৎক্ষণাৎ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কারণ সেই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোতে হামলার পরিকল্পনা ছিল। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান তেহরান ও কারাজে টার্গেটেড স্ট্রাইক চালায়। কারাজ শহরটিকে পারমাণবিক কার্যকলাপের কেন্দ্র বলেই দেখা হয়।
যুদ্ধে বাড়ছে প্রাণহানি: উভয় পক্ষেই ক্ষয়ক্ষতি বিপুল
দু’পক্ষেরই পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক-
ইরানের দাবি: ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২৪ জনের
ইসরায়েলের তথ্য: ইরানের ছোঁড়া ৩৭০টিরও বেশি মিসাইল ও শতাধিক ড্রোন দেশের আকাশে আছড়ে পড়েছে
ইসরায়েলের প্রাণহানি: মৃত অন্তত ২৪ জন, আহত ৫০০-র বেশি
দুঃস্বপ্নের শুরু?
এই যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ এখনই দেখা যাচ্ছে না। বরং দু’পক্ষই আরও প্রস্তুত, আরও প্রতিশোধপরায়ণ। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে শুধু তেহরান বা তেল আবিব নয়, গোটা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে-এ কি কেবল দুই দেশের যুদ্ধ? নাকি ছায়া পড়ছে এক নতুন বিশ্বসংঘর্ষের?
World: Iran claims unprecedented Fattah-1 hypersonic missile use in ‘Operation Honest Promise 3’ against Israel. IRGC declares airspace control. Ayatollah Khamenei vows “no mercy, only revenge.” Trump issues stern ultimatum: “surrender now,” warning patience is wearing thin. Middle East conflict escalates dramatically.