গাজা: হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধের জেরে এবার তালা লেগে গেল গাজার বৃহত্তম হাসপাতালে। শেষ কয়েক সপ্তাহে লাগাতার হামলা হয়েছে গাজার একাধিক হাসপাতাল এবং গির্জায়। এই প্রেক্ষিতে চিকিৎসাব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। আসলে আইডিএফ-এর ধারণা, গাজার একাধিক হাসপাতালে পণবন্দিদের রেখেছে হামাস। রোগীদের আড়ালে তাদের রেখে নিজেদের কার্যসিদ্ধি করতে চাইছে তারা। তাই বারবার এইসব জায়গায় হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল সেনা।
হামাসকে জব্দ করতে তারা যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে, এমনটা স্পষ্ট করেছিল আইডিএফ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গাজার বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ করেছিল তারা। এখনও সেই অবস্থাই বর্তমান গাজা স্ট্রিপে। তাই জ্বালানির অভাবে কার্যত আঁধারে ডুবছে হাসপাতাল-সহ অন্যান্য এলাকা। স্বাভাবিকভাবেই এইই কারণে রোগী মৃত্যু বাড়ছে সেখানে। রোগীদের মধ্যে বহু শিশু এবং নারীরা আছেন। যুদ্ধের হামলার কারণে তো মৃত্যু ঘটছেই, এখন হাসপাতালের রোগীরা এইভাবে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ায় আগামী দিনে পরিস্থিতি যে আরও সঙ্গিন হতে চলেছে তা আন্দাজ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালে আঘাত হেনেছে ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া অন্য এক শিশু হাসপাতালেও তারা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। স্বশাসিত প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এমতাবস্থায় গাজার অন্তত ২০টি হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাশপাশি ওষুধ-সহ অত্যাবশকীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহও কার্যত বন্ধ।