কলকাতা: প্রায় ৫৪ বছর আগে চাঁদের মাটিতে পা রেখে ইতিহাস গড়েছিল মানুষ। প্রথম চন্দ্রপৃষ্ঠে পা রেখেছিলেন আমেরিকার মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং। চাঁদে পা দেওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন আর্মস্ট্রংয়েরই সহযাত্রী এডউইন অলড্রিন। অ্যাপোলো ১১ মিশনের হাত ধরে চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিল নাসা৷ বলা হয়, চাঁদের নাকি মল ভর্তি ব্যাগ ফেলে এসেছিলেন তাঁরা৷ পরবর্তীতে যাঁরা চাঁদে গিয়েছিলেন, তাঁরাও চাঁদের মাটিতেই পটি বোঝাই ব্যাগ ফেলে রেখে আসে৷ এই খবর সামনে আসতেই তেড়েফুড়ে উঠেছিলেন নেটিজেনদের একাংশ। নানা কারণে দূষণে জর্জরিত আমাদের পৃথিবী। এবার সেই তালিকায় কি জুড়ে দেওয়া হল চাঁদকেও?
এই সব নিয়ে আলোচনার মাঝেই উঠে এল আরও একটি প্রশ্ন৷ ফেলে আসা মল ভর্তি ব্যাগ থেকে কি চাঁদেও ছড়িয়ে পড়বে দুর্গন্ধ? না, সেই সম্ভাবনা নেই৷ কারণ চাঁদে কোনও বায়ুমণ্ডল নেই। ফলে কোনও জিনিস সেখানে ফেলে আসা হলে তা একইরকম থেকে যাবে। মল থেকেও দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে না। অর্থাৎ ৫০ বছর ধরে চাঁদে মলের বস্তা পড়ে থাকলেও তা থেকে দুর্গন্ধ বেরনোর সম্ভাবনা নেই৷
চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর ছয় ভাগের একভাগ। ফলে সেখানে সমস্তকিছুই প্রায় ভাসমান৷ তাই চাঁদে আদৌ কোনও মানুষ পৌঁছতে পেরেছেন কিনা তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে৷ চাঁদ থেকে মহাকাশচারীদের পাঠানো ছবি নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে৷
মোট ছয় বার চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছে আমেরিকা। জানা গিয়েছে, প্রতি বারই মহাকাশচারীরা মলভর্তি ব্যাগ ফেলে এসেছেন চাঁদের পিঠে। তবে সেই মল ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তারা ফের চাঁদে মানুষ পাঠাতে চলেছে৷ শুধু তাই নয়, এই ব্যাগগুলি ফিরিয়ে আনার পর তার মধ্যে থাকা মলে কোনও পরিবর্তন হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে চায় নাসা৷