এবার গ্রহের ভবিষ্যদ্বাণী করবে NASA-র তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

এবার গ্রহের ভবিষ্যদ্বাণী করবে NASA-র তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

ওয়াশিংটন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল (এআই) ইন্টেলিজেন্স দিয়ে আজকের দিনে অনেক কিছু করা সম্ভব৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিনা করতে পারে৷ এটি গান বাজাতে পারে। মানুষের মতো অবিকল ছবি আঁকতে পারে৷  তবে এই সমস্ত কিছু ছাপিয়ে এখন সাফল্যের অন্য শিখড়ে পৌঁছে গিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা৷ কোন গ্রহের অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে আর কোন গ্রহের অস্তিত্ব বজায় থাকবে, সেই ভবিষ্যদ্বাণীও করছে এটি৷   

অসীম রহস্যে ভরা মহাকাশ নিয়ে আমাদের কৌতূহলের অন্ত নেই৷ মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্রদের নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করাও সহজ কথা নয়৷ তবে সম্প্রতি নাসা এবং প্রিন্সটোন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বাজ্ঞানীরা এমন একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টি করেছে, যা মহাকাশের থাকা গ্রহগুলির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনুমান করতে পারবে৷ 

প্রিন্সটনের অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল সেয়েন্সের নাসা হাবল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম সাগান ফেলোর ড্যানিয়েল তামাজো বলেন, অস্থিতিশীল কনফিগারেশনগুলি থেকে স্থিতিশীল কনফিগারেশনগুলিকে পৃথক করা খুবই জটিল কাজ৷  কোনও গ্রহ স্থিতিশীল রয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কোটি কোটি বছর ধরে একাধিক ইন্টারঅ্যাক্টিং গ্রহের গতিবিধি গণনা করতে হয় এবং স্থায়িত্বের জন্য প্রতিটি সম্ভাব্য কনফিগারেশন পরীক্ষা করতে হয়৷ 

কোটি কোটি কক্ষপথের জন্য প্রদত্ত কনফিগারেশনকে অনুকরণের পরিবর্তে, (যা গণনা করতে প্রায় ১০ ঘন্টা ব্রুট-ফোর্স পদ্ধতির গ্রহণ করে) তমায়োর এআই মডেল ১০,০০০ কক্ষপথের জন্য একই কাজ করেছিল, যা গণনা করতে এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশ নেয়।

এই এআই মডেলটি SPOCK ( স্টেবিলিটি অফ প্ল্যানেটারি অরবিট কনফিগারেশনস ক্লাসিফায়ার) নামে অভিহিত৷ যা পূর্ববর্তী পদ্ধতির তুলনায় গ্রহ সংক্রান্ত কনফিগারেশনের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা নির্ধারণ করে৷ যার ফলে কোনও গ্রহ ‘দীর্ঘজীবী হবে কিনা, তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =