ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু কেন্দ্রে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কায় ইউক্রেন

ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু কেন্দ্রে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কায় ইউক্রেন

কিয়েভ:  বারুদের স্তুপে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইউক্রেন৷  রুশ হামলায় বিধ্বস্ত রাজধানী কিয়েভ৷ এসেছে পরমাণু হামলার হুমকি৷ এমতাবস্থায়  দু’দফা আলোচনায় বসেছে ইউক্রেন ও রাশিয়া৷ কিন্তু মেলেনি রফা সূত্র৷ এরই মধ্যে ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আছড়ে পড়েছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র৷ অশনি সঙ্কেত দেখছে আন্তর্জাতিক মহল৷ 

আরও পড়ুন- ‘আলোচনায় বসুন, আমি কামড়াব না, ভয় কীসের?’ পুতিনকে বার্তা জেলেনস্কির

বৃহস্পতিবারই জাপরজাই পরমাণু কেন্দ্রের দখল নেয় রুশ ফৌজ৷ এর পরেই রাশিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’-কে (IAEA) জানিয়ে দেয় যে, তাদের সেনা ইউক্রেনের জাপরজাই পরমাণু কেন্দ্র লাগোয়া সমস্ত এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। শুক্রবার জানা যায়, রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় পরমাণু কেন্দ্রের একাংশে আগুন ধরে গিয়েছে৷ এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখমও হয়েছেন। এর চেয়েও ভয়ঙ্কর বিষয় হল, পরমাণু কেন্দ্র থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ৷ যা নিয়ে ক্রমেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে৷ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। ইতিমধ্যেই আমেরিকার এনার্জি সেক্রেটারি জেনিফার গ্রানহোম টুইট করে জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তিনি ইউক্রেনের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিনা, জানতে চেয়েছেন৷ 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আর্জি, যত দ্রুত সম্ভব পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালানো বন্ধ করুক রাশিয়া৷ মস্কোর কাছে একই আবেদন জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পাশাপাশি তএই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে দ্রুত বৈঠকের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। যদিও আশ্বস্ত করে পরমাণু কেন্দ্রের কর্তারা  জানিয়েছেন, হামলার পরেই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করেছিল৷ তবে এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে৷ তবুও প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কের মধ্যে কাটাচ্ছেন ইউক্রেনবাসী। 

উল্লেখ্য, ইউক্রেনে ১৫টি পরমাণু কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কেন্দ্র জাপরজাইয়। সেই কেন্দ্রের খুব কাছে এই ভাবে যুদ্ধ চলায় উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। নিউক্লিয়ার প্লান্টে কোনও ধরনের বোমা বর্ষণ হলে বা কর্মীরা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে বড়সড় বিপর্যয় তৈরি হবে৷ বিপদের মুখে পড়তে  হবে ইউক্রেন-সহ গোটা ইউরোপকে৷ সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই চেরনোবিল আণবিক কেন্দ্রের দখল নিয়েছে রুশ ফৌজ। সব মিলিয়ে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই আশঙ্কায় ওয়াকিবহাল মহল।