Earth End
১৫ সেপ্টেম্বর মানে আজই ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী? দুটো ক্রিকেট পিচের চেয়েও বড় আগুনের মৃত্যুগোলা নেমে আসছে আকাশ থেকে। ডায়নোসরের মতোই এবারও ধ্বংস হয়ে যাবে গোটা প্রাণীকুল? বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যৎবাণী কি সত্যি হতে চলেছে?
সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একটাই খবর ঘুরছে। তাহলে কি সত্যিই ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ দিন পৃথিবীর? এটা কী গুজব? আসল ফ্যাক্ট কী?
Predicts Baba Vanga
বিশালাকার গ্রহাণু 2024 ON সম্পর্কে অলরেডি বিজ্ঞানীদের সতর্ক করেছেন নাসা। যার ব্যস ৭২০ ফুট। মানে মোটামুটি দুটো ক্রিকেট পিচের চেয়েও বড়। আর এখানেই ভয়। তাহলে কি এই এত বড় গ্রহাণুর আঘাতেই ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী?
নাসা বলছে, এর গতিবেগ কিন্তু মারাত্মক
নাসা বলছে, এর গতিবেগ কিন্তু মারাত্মক। ২৫ হাজার মাইল প্রতি ঘন্টা। যত সময় গড়াচ্ছে ততই উদ্বেগ উৎকণ্ঠা, টেনশন বাড়ছে। মোটামুটি একটা ৬০ তলা বিল্ডিং এর আকার সমান গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। চারটি খানি কথা নয়। হাতে সময় ও খুব কম। নাসা বলছে, চলতি বছরের ১৫ই সেপ্টেম্বর রবিবার পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে এই গ্রহাণু। তাহলে সেদিনই যা ঘটার ঘটে যেতে পারে? এই আশঙ্কা থেকেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এমন ভিডিও বা পোস্টে চারিদিক ছয়লাপ। কিন্তু, ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনায় নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি, এই গ্রহাণু সম্পর্কে যা মনে করছে সেটা মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো।
পৃথিবীতে ডাইনোসর বিলুপ্তির কারণ
কোন তথ্য সামনে রাখছে তাঁরা? সেটাতে আসবো তার আগে মনে করিয়ে দিই, পৃথিবীতে ডাইনোসর বিলুপ্তির কারণ কিন্তু এই গ্রহাণুর আঘাত। আজ থেকে ৬.৬ কোটি বছর আগে ১২ কিমি ব্যাসার্ধের গ্রহাণু আছড়ে পড়েছিল এই নীল গ্রহে। যা ছিল হিরোশিমায় পড়া পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের থেকেও বহুগুণ ভয়ংকর। আর তার ফলেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিল অতিকায় প্রাণীরা। ডাইনোসরদের অবলুপ্তি ঘটেছিল।
গ্রহাণু কোথায় আছে পড়তে পারে?
ডাইনোসররা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। একদল বিজ্ঞানী সেই ঘটনার বিশদ বিবরণ ও তৈরি করেছেন সেকেন্ড-মিনিট-ঘন্টা ধরে ধরে। ওই গ্রহাণু এসে পড়েছিল মেক্সিকো উপসাগর তীরবর্তী ইউকাটান উপদ্বীপ এলাকায়। এবারের এই গ্রহাণুটা কোথায় আছে পড়তে পারে? কি আশঙ্কা করা হচ্ছে? ডাইনোসর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবার কি তাহলে গোটা প্রাণীকুল? ঘুরছে এমন প্রশ্নও?
মনে পড়ে যাচ্ছে বাবা ভাঙার সেই ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎবাণী। তিনি বলছিলেন পৃথিবী ধ্বংসের শুরু হবে ২০২৪ সাল থেকে। পৃথিবীর দিকে গ্রহাণুর ধেয়ে আসা প্রসঙ্গে এখন বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যৎবাণীকেও যেন মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
NASA Jet Propulsion Laboratory
যদিও, স্বস্তির বিষয় হল NASA Jet Propulsion Laboratory বলছে এই গ্রহাণু ২০২৪ অন এর পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষের সম্ভাবনা বর্তমানে কম। তবুও গ্রহাণু যে পথে ধেয়ে আসছে সেই পথ ট্র্যাক করার দিকে কনস্ট্যান্ট নজর রাখা হচ্ছে।
আসলে বাবা ভাঙাও যে ২০২৪ নিয়ে আশঙ্কা করেছিলেন সেখানেও বাবা বলেছিলেন ২০২৫ সালে ইউরোপে একটা বড় সংঘাত হবে যা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করবে, এই মাহাদেশের মানুষ বড় বিপদে পড়বে। ২০৩৩ এ জলবায়ু পরিবর্তনের গুরতর পরিণতির ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি। সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাবে। মারাত্মক ভাবে জলবায়ু পরিবর্তন হবে। পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে যাকা মুশকিল হয়ে যাবে। ২১৭০ সাল নাগাদ মারাত্মক খরা দেখা দেবে সারা পৃথিবীতে।
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যৎবাণী Baba Vanga
২০৭৬ সাল নাগাদ সারা পৃথিবীতে সাম্যবাদ স্থায়ী ভাবে বিস্তৃত হবে এবং মানুষ এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। ৩০০৫ সালে যুদ্ধ শুরু হবে পৃথিবী ও মঙ্গোলের মধ্যে। ৩৭৯৭ সালের মধ্যে পৃথিবীতে থাকা অসম্ভব হয়ে যাবে। পৃথিবী ছেড়ে অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে হবে মানুষকে। অবশেষে ৫০৭৯ সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই কেউ কেউ বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যৎবাণীর উপর ভরসা রেখেই বলছেন গ্রহাণু ২০২৪ অন আর যাই হোক পৃথিবী ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।
তবে, এখানে একটা কথা জানিয়ে রাখতে হচ্ছে। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ‘বিশৃঙ্খলতার ঈশ্বর’! অতিকায় এই গ্রহাণুর নাম ‘৯৯৯৪২ অ্যাফোফিস’ হলেও এই নামেই ডাকা হচ্ছে তাকে। ২০২৯ সালের এপ্রিলে তার আছড়ে পড়ার আশঙ্কা, তবুও এখন থেকেই নাসার কৌতূহলের শেষ নেই গ্রহাণুটিকে ঘিরে। সত্যিই কি বিরাট ওই মহাজাগতিক খণ্ড ডেকে আনবে ‘শেষের সেদিন’? এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
আরও পড়ুন-
মঙ্গলে হাসিমুখে এটা কী? লাল গ্রহে লুকিয়ে কোন রহস্য?
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে দুটি বৃহৎ গ্রহাণু, সতর্ক করল NASA
তীব্র গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিমানের আকারের গ্রহাণু,
Baba Vanga‘s predictions about the end of the world are not supported by scientific evidence. While she was known for her alleged prophetic abilities, her claims about the end of the world are largely speculative and have no basis in scientific fact. It’s important to approach these predictions with skepticism and to rely on credible sources for information about the world’s future.