নির্বাচনের আগে বাংলায় এসে জনসভা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে র্যালিস্থলে পৌঁছাতে পারেনি তিনি। বদলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় ভার্চুয়ালি একটি জনসভায় ভাষণ দেন। আজ বিকেলে কম দৃশ্যমানতার কারণে তাহেরপুর হেলিপ্যাডে অবতরণ করতে না পারায় তাঁর হেলিকপ্টারটিকে কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে আসতে হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারটি কিছুক্ষণ হেলিপ্যাডের উপর ঘোরাঘুরি করে এবং তারপর ইউ-টার্ন নেয়।
তিনি তাহেরপুরের জনসভায় উপস্থিতদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভাষণ দিতে না পারার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাসীন তৃণমূলের ওপর আক্রমণ শানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দলটিকে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন, যা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে একটি বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে। তিনি গর্জে উঠে বলেন, তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে, আর একারণেই তারা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর (এসআইআর) বিরোধিতা করছে। তিনি রাজ্যের জনগণকে একটি ডাবল-ইঞ্জিন সরকারকে সুযোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জানান। তিনি বলেন, "তৃণমূলের অপশাসনে পশ্চিমবঙ্গের অগ্রগতি থমকে গেছে। মানুষ এখন নতুন আশা নিয়ে বিজেপির দিকে তাকিয়ে আছে। নদিয়া জেলায় ভার্চুয়ালি একটি জনসভায় ভাষণ দিচ্ছি। তৃণমূল আমাকে এবং বিজেপিকে যত খুশি বিরোধিতা করুক। কিন্তু বাংলার অগ্রগতি যেন থেমে না যায়।" তিনি অভিযোগ করেন যে শাসক দলের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও তোষণ নীতির কারণে রাজ্যে উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
বিহারের নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল অনুসরণ করে তিনি রাজ্যের পরিস্থিতিকে "মহা জঙ্গলরাজ" বলে আখ্যা দেন। প্রধানমন্ত্রী সমাবেশে আসার পথে দুর্ঘটনায় নিহত কয়েকজন বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি আজ সকালে নদিয়া জেলার তাহেরপুরের জনসভার জন্য কলকাতায় পৌঁছান। তার তাহেরপুরে একটি হেলিকপ্টারে যাওয়ার এবং রাজ্যে কিছু মহাসড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা ছিল। এরপর 'পরিবর্তন সংকল্প সভা' শীর্ষক বিজেপির জনসভা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সমাবেশে ভাষণ দেন।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন