কুন্তলের চিঠি মামলা, বিচারপতি সিনহার নির্দেশ খারিজের আর্জি জানিয়ে ফের হাই কোর্টে অভিষেক

কুন্তলের চিঠি মামলা, বিচারপতি সিনহার নির্দেশ খারিজের আর্জি জানিয়ে ফের হাই কোর্টে অভিষেক

কলকাতা: কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা যে  নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা খারিজ করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে চিঠি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কাছে কোনও রক্ষাকবচ পাননি অভিষেক। তবে শীর্ষ আদালত জানায়, চাইলে ৪৮২ ধারায় মামলা দায়ের করতে পারেন অভিষেক। সেই নির্দেশ মাফিক এবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক বলেছিলেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে চাপ দিয়ে তাঁর নাম নিতে বলেছিল সিবিআই। এর পরেই নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ নিম্ন আদালতের বিচারক ও হেস্টিংস থানাকে চিঠি লিখে জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷

৬ এপ্রিল জেল থেকে সোজা বিচারককে চিঠি পাঠান কুন্তল৷ তাঁর লেখা সেই চিঠি আদালত কক্ষে তুলে ধরেন বিচারক। কুন্তলের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারক বলেন, এই চিঠিতে যা অভিযোগ করা হচ্ছে সে কথা আপনারা আগে কখনও আদালতে জানাননি কেন? জবাবে আইনজীবী বলেন, ‘‘জেলে কুন্তলের সঙ্গে আমরা দেখা করতে পারছি না। তাই এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারিনি।’’

কিছুটা কাকতালীয় হলেও, সিবিআই-ও এই বিষয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তারপরেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে এই মামলায় পৃথক এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। তবে সিবিআই তদন্তে বাধা পড়েনি। ২০ মে চিঠিকাণ্ডে অভিষেককে তলব করে টানা ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট প্রথমে সাত দিনের স্থগিতাদেশ দিলেও পরে মামলা ফেরায় হাই কোর্টেই। তখনই অভিষেক ও কুন্তলকে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক৷ তবে তিনি রক্ষাকবচ পাননি। এবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা করলেন অভিষেক। সম্ভবত ২৪ জুলাই সেই মামলার শুনানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *