৩৬০০০ নয়, ৩০১৮৫! অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের চাকরি বাতিল-রায়ে সংশোধন চেয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে আবেদন

৩৬০০০ নয়, ৩০১৮৫! অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের চাকরি বাতিল-রায়ে সংশোধন চেয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে আবেদন

 কলকাতা:  নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে এক লপ্তে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ চাকরি বাতিলের সেই রায়ে সংশোধন চেয়ে এবার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সোমবার তিনি আদালতে জানান, অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীর সংখ্যা ৩৬ হাজার নয়। প্রকৃত সংখ্যা ৩০ হাজার ১৮৫। ‘টাইপোগ্রাফিক্যাল’ ত্রুটির জন্য এই বিভ্রান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার এই বিষয়টি নিয়ে শুনানির সম্ভাবনা৷ 

২০১৬ সালের প্রাথমিকে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রিয়ঙ্কা নস্কর-সহ ১৪০ জন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাই কোর্ট মামলা করেন। তাঁদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আদালতে জানান, মামলাকারীদের চেয়ে কম নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও বেশ কিছু প্রশিক্ষণহীন প্রার্থী প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গেই উঠে আসে ইন্টারভিউ বিতর্ক। অভিযোগ,  নিয়ম অনুযায়ী ইন্টারভিউয়ে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়ার কথা বলা হলেও বহু ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। বিভিন্ন জেলায় যাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদের তলব করে আগেই গোপন জবানবন্দি নথিবদ্ধ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার ভিত্তিতেই ১২ মে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি।

২০১৬ সালে প্রাথমিকে মোট ৪২,৫০০ জন প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এর মধ্যে প্রশিক্ষিত ( ডিএলএড ডিগ্রি সম্পন্ন) ৬৫০০ জনকে নিয়ে কোনও দিনই বিতর্ক হয়নি। তবে শুক্রবার এক লঙ্গে ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই সোমবার মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের সংখ্যা ৩৬ হাজার নয়। ৩০ হাজার ১৮৫। লেখায় ভুল হয়েছে!

এদিকে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা৷