খুলছে না অটোমেটিক স্লাইডিং ডোর, টান শৌচাগারের জলেও, প্রশ্নের মুখে বঙ্গে বন্দে ভারত পরিষেবা

খুলছে না অটোমেটিক স্লাইডিং ডোর, টান শৌচাগারের জলেও, প্রশ্নের মুখে বঙ্গে বন্দে ভারত পরিষেবা

নয়াদিল্লি:  অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে যাত্রা শুরু করেছে প্রথম শ্রেণির ট্রেন বন্দেভারত এক্সপ্রেস৷ কিন্তু প্রথম সফরেই গুচ্ছ অভিযোগ৷  এ রাজ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ওয়াইফাইয়ের বন্দোবস্ত থাকলেও সেই সুবিধা মেলেনি৷ শৌচাগারেও ছিল জলের টান, দুই কামরার মধ্যবর্তী দরজার সেন্সরেও সমস্যা দেখা দেয়৷ ফলে ঠিকঠাক দরজা খোলোনি৷ এমনকি সময় মতো সব যাত্রীর কাছে চা-প্রাতরাশ পৌঁছে দিতে না-পারার মতো অভিযোগও রয়েছে৷ সব মিলিয়ে বঙ্গে বন্দেভারতের প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রার অভিজ্ঞতা মিশ্র৷ কারণ একাধিক পরিষেবাগত সমস্যা থাকলেও যাত্রা শুরু থেকে বিভিন্ন স্টেশনে পৌঁছনো নিয়ে বন্দে-ভারত যে-সময়ানুবর্তিতা দেখিয়েছে, তাতে কমবেশি সকলেই খুশি৷ তবে পরিষেবায় পূর্ণ মান পাওয়া নিয়ে সংশয় থেকেই গেল৷

আরও পড়ুন- আজ কল্পতরু উৎসব, দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর পুজো, ভিড় ভক্তদের!

রবিবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে রওনা দেয় বন্দে ভারত৷ এর ঠিক দু’ঘণ্টা আগে হাওড়ার ১১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে চলে আসে ট্রেন৷ এদিন ভোরে ঘন কুয়াশা থাকলেও নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল ৭টা বেজে ৪০ মিনিটে বোলপুর (শান্তিনিকেতন) পৌঁছয় বন্দে ভারত। মালদহে পৌঁছয় প্রায় ২৫ মিনিট আগে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনেও ঢোকে প্রায় নির্ধারিত সময়ে। দু’মিনিট দেরিটাকে ঠিক ‘লেট’ বা বিলম্ব বলতে রাজি নন যাত্রীরা। রাতে ফেরার সময়েও নির্ধারিত সময়ের ১৩ মিনিট আগে, ১০টা বেজে ২২ মিনিটে হাওড়ায় পৌঁছে যায় বন্দে ভারত।

কিন্তু ট্রেনের কামরায় বিভিন্ন সেন্সর নিয়ন্ত্রিত স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে৷ অভিযোগ, দু’টি কামরার মধ্যিখানে সেন্সরযুক্ত কাচের দরজা অনেক ক্ষেত্রেই ঠিকমতো খেলেনি। এগজিকিউটিভ শ্রেণির কয়েকটি শৌচালয়ে জলও ফুরিয়ে গিয়েছিল৷  বেশ কিছু ক্ষেত্রে সেন্সর নিয়ন্ত্রিত সোপ ডিসপেন্সার ঠিকমতো কাজ করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে৷