ধড়ক ২ সিনেমাটি অনেকটা তার প্রিক্যুয়েলের মতোই। গল্পের শুরু নীলেশ (সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী) এবং বিধিকে (ত্রিপতি ডিমরি) নিয়ে। এই ছবিতেও উচ্চবর্ণ এবং নিম্নবর্ণের কথা উঠে এসেছে।
ধড়ক ২-এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সিনেমটা বেশ ধীরগতির। ছবির প্রথমার্ধটি প্রায় পুরোটাই প্রেমের গল্পের উপর তৈরি। টুইস্ট রয়েছে দ্বিতীয়ার্ধ্বে। ধড়ক ছবির থেকে এর সিক্যুয়েলে অনেক বেশি ওঠাপড়া রয়েছে। এখানে বর্ণগত হিংসা, একটি রাজনৈতিক উপ-প্লট, এমনকি নিম্ন-বর্ণের তরুণদের কথাও বলে। ছবির দ্বিতীয়ার্ধে রোম্যান্টিকতাকে বা প্রেমকে সম্পূর্ণ সরিয়ে রেখে মূল সমস্যার দিকে জোর দেয়। বর্ণ বৈষম্যের প্রসঙ্গ সামনে নিয়ে আসে। ধড়ক-এ ঈশান খট্টর অনেকটাই সাধারণ ছেলে ছিল। অনেকটাই বয় নেক্সট ডোর। কিন্তু এই ছবিতে প্রেমের জন্য নীলেশ পাল্টা আঘাত করে। ফলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। ছবিটিও জমজমাট হয়ে ওঠে।
ধড়ক ২ ছবিতে শিল্পীদের অভিনয় ভালো। কিন্তু সম্পাদনার অভাব একে দুর্বল করে দেয়। ক্লাইম্যাক্সের কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে জাকির হুসেনের ভূমিকা নজর কাড়ে। পাশাপাশি সৌরভ সচদেবের প্রতিপক্ষ হিসেবে যথাযথ। ধড়ক ২ এমন একটি ছবি যা একটি শক্তিশালী সামাজিক বার্তা বহন করে। এটি জাতিভেদ ও নিপীড়নের কথা তুলে ধরে। কিন্তু এটি একটি অসম আখ্যান এবং একটি অতিরিক্ত রানটাইমের ভারে ভারাক্রান্ত।
Dhadak 2 movie review: A complex exploration of love and societal norms. Discover the film’s strengths and weaknesses in our detailed review.