vladimir putin will visit india
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকির আবহেই নতুন কূটনৈতিক মাত্রা পেল ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক। চলতি মাসের শেষেই ভারতে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, বৃহস্পতিবার মস্কো থেকে এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তবে সফরের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনো ঘোষণা হয়নি। ডোভাল বর্তমানে রাশিয়াতেই রয়েছেন।
রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে ক্ষুব্ধ আমেরিকা
এই সফরের ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন রাশিয়া থেকে তেল আমদানির প্রশ্নে নয়াদিল্লিকে কার্যত ‘শাস্তি’ দিতে শুরু করেছে ওয়াশিংটন। বুধবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ভারতের পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে। ফলে ২৭ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় ভারতীয় রফতানির উপর কার্যত ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক প্রযোজ্য হবে। ট্রাম্প পরে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বজায় রাখলে ভবিষ্যতে আরও কড়া বিধিনিষেধের মুখোমুখি হতে হবে।
এই প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার রাশিয়া কার্যত ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ায়। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন দেশকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই ধরনের বিবৃতিকে বৈধ বা ন্যায্য বলে মনে করি না। সার্বভৌম কোনও দেশের নিজস্ব বাণিজ্যসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে।”
পুতিনের ভারত সফর তাৎপর্যপূর্ণ vladimir putin will visit india
পুতিনের ভারত সফরের আগে রাশিয়ার এই অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে কূটনৈতিক মহলের অভিমত। যদিও পেসকভ কোথাও সরাসরি ভারতের নাম নেননি, তবে বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পরিষ্কার, মস্কো এখন নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়াতেই আগ্রহী।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্টের বিদেশনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বৃহস্পতিবার জানান, ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষবৈঠকের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা চলছে। স্থান ও সময় এখনও নির্দিষ্ট না হলেও আলোচনার স্তর ‘উচ্চপর্যায়ে’ বলেই দাবি মস্কোর।
তেলের রাজনীতিতে উত্তপ্ত ভূকৌশল
২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই পশ্চিমি দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞার জালে পড়েছে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমাগত কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মস্কো। সেই পরিস্থিতিতে ভারত রাশিয়া থেকে সস্তায় খনিজ তেল আমদানি করে জাতীয় স্বার্থে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে ভারতের মোট তেল আমদানির প্রায় ৩৫ শতাংশই আসে রাশিয়া থেকে।
এই তেল আমদানি নিয়ে ক্রমাগত আপত্তি জানিয়ে এসেছে আমেরিকা। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এইভাবে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করে যুদ্ধ চালানোর পেছনে আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে পুতিন। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ পরোক্ষে দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তবে ভারত শুরু থেকেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, জাতীয় স্বার্থই নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের একমাত্র নির্ধারক। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, “আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি এবং দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী ভারত তার নীতি নির্ধারণ করে থাকে। কে কত দামে বিক্রি করছে, সেটাই বিবেচ্য।”
এই অবস্থানে সমর্থন জানিয়েই এ বার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। ট্রাম্পের ‘অন্যায্য’ শুল্কনীতির সমালোচনায় মুখর হয়েছে মস্কো। কূটনৈতিক মহলের মতে, এমন সময়েই পুতিনের ভারত সফরের ইঙ্গিত শুধু এক সৌজন্য নয়, এটা রাজনৈতিক বার্তাও। ট্রাম্পের হুমকি উপেক্ষা করে নয়াদিল্লি মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখবে কি না, তা নিয়েই এখন আন্তর্জাতিক মহলে জোর জল্পনা।
India: Amidst escalating US tariffs and threats from Donald Trump over oil imports from Russia, India-Russia relations take center stage with the announcement of Vladimir Putin‘s visit. Ajit Doval confirmed the visit from Moscow, while the Kremlin criticized the US for pressuring countries over trade.