লাল ছাতায় ঋষি-অক্ষতার ‘পেয়ার হুয়া…’ মুহূর্ত, সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলেন নয়া ‘কাপল গোল’

লাল ছাতায় ঋষি-অক্ষতার ‘পেয়ার হুয়া…’ মুহূর্ত, সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলেন নয়া ‘কাপল গোল’

নয়াদিল্লি:  ‘পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া…’, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক ও তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির ভারতের মাটিতে লেন্স বন্দি হতেই মনে পড়ে গেল পঞ্চাশের দশকের বিখ্যাত ছবি শ্রী ৪২০ –এর সেই গান৷ রাজ কাপুর ও নর্গিসকে যেন নতুন ভাবে দেখল নেটিজেনরা৷ ‘পিকচার পারফেক্ট’ ফ্রেমে নজর কাড়লেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি৷ ইন্টারনেটে তৈরি করলেন ‘কাপল গোলস’৷

ঋষি সুনকের সঙ্গে আবার ভারতের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে৷ তিনি এদেশের জামাই! তাঁর স্ত্রী অক্ষতা ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তি ও সুধা মূর্তির কন্যা। জি২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে শুক্রবার ভারতে আসেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী৷ সম্মেলনের ফাঁকেই পারফেক্ট ফ্রেমে ধরা পড়েন ঋষি-অক্ষতা।

শনিবার রাজধানী দিল্লিতে বসে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আসর৷ রবিবার ছিল সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন৷ এদিন অনুষ্ঠান শুরুর আগেই, সাতসকালে স্ত্রী অক্ষতাকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরে পুজো দেন ঋষি সুনক। সেখানে একসঙ্গে আরতি করতেও দেখা যায় তাঁদের৷

এদিকে পুজো সেরে তাঁরা যখন মন্দির থেকে বেরিয়েছেন, সেই সময় শুরু হয় বৃষ্টি৷ কিন্তু স্ত্রীকে তো আর ভিজতে দেওয়া যায় না৷ তাই তড়িঘড়ি নিজেই লাল রঙের বড় ছাতাটি খুলে অক্ষতার মাথার উপর ধরেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ ব্যাস ফটো শিকারিদের ক্যামেরায় সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ে যায় ঋষি-অক্ষতার সেই রোম্যান্টিক মুহূর্ত৷ নতুন ভাবে যেন ফিরে আসে ‘পেয়ার হুয়া, ইকরার হুয়া..র সেই নস্টালজিক দৃশ্য৷  

শুক্রবার জি২০ সম্মেলনের শুরুতেই নিজেকে ‘গর্বিত হিন্দু’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন ঋষি সুনক। সেই সময় দিল্লির মন্দিরে পুজো দেওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। রবিবার তাঁর সেই ইচ্ছে পূরণও হয়৷ শুক্রবার সুনক এও জানিয়েছিলেন, এই বছর তিনি রাখিবন্ধন উৎসব পালন করলেও, জন্মাষ্টমী পালনের সুযোগ পাননি। এবার ভারতে যখন এসেছেন, তখন কোনও একটি মন্দিরে ভগবানের দর্শন করে জন্মাষ্টমী পালন করতে না পারার দুঃখটা মিটিয়ে নেবেন। সেই মতোই অক্ষরধাম মন্দিরে এসে সস্ত্রীক পুজো দেয় তাঁরা৷ 

এর পাশাপাশি দিল্লি ঘোরার পরিকল্পনাও করে ফেলেন অক্ষতা৷ সুনক জানান, তাঁদের পছন্দের বেশ কিছু রেস্তরাঁয় যাওয়ার ইচ্ছাও রয়েছে তাঁর৷ দিল্লিতে থাকাকালীন এইসব রেস্তরাঁগুলিতে প্রায়ই যেতেন দু’জনায়।

ঋষি আর অক্ষতার প্রেম শুরু হয়েছিল কলেজ ক্যাম্পাসে৷ সালটা ২০০৬৷ স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করছিলেন অক্ষতা৷ ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই মেধাবী ছাত্র ছিলেন ঋষি। টপার ঋষিকে প্রথম দেখাতেই মনে ধরেছিল নারায়ণ-কন্যার৷ ঋষির মনেও জেগেছিল অনুভূতি৷ প্রথমে বন্ধুত্ব, তার পর প্রেম৷ তিন বছর রিলেশনে থাকার পর ২০০৯ সালে বেঙ্গালুরুতে গাঁটছড়া বাঁধেন ঋষি-অক্ষতা৷ তাঁধদের দুই কন্যা সন্তান আছে৷ 

ব্রিটিশ ফার্স্ট লেডি হওয়ার পাশাপাশি অক্ষতার নিজস্ব একটি পরিচয় রয়েছে৷ তাঁর সম্পত্তি তো ব্রিটেনের রানিকেও হার মানায়৷ ঋষি ও তাঁর স্ত্রী মোট ৭৩০ মিলিয়ন পাউন্ডের মালিক৷ ভারতীয় মুদ্রায় যার পরমাণ ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকারও বেশি। ইনফোসিসে অক্ষতার শেয়ারের মূল্য প্রায় ৪৩০ মিলিয়ন পাউন্ড। অক্ষতা নিজে ব্রিটিনের একটি ভেঞ্চার কোম্পানির মালিক৷ পাশাপাশি ব্রিটেনের আরও পাঁচটি সংস্থার ডিরেক্টর অথবা শেয়ার হোল্ডার হিসাবে রয়েছেন অক্ষতা মূর্তি৷ 

 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *