গোয়ায় আরপোরার বার্চ বাই রোমিও লেনে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন পঁচিশ জন। সকলেরই এখন পরিচয় শনাক্ত করা গিয়েছে। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে নিহতদের মধ্যে বিশ জন কর্মী এবং পাঁচ জন পর্যটক রয়েছেন। রবিবার ভোরে যখন নাইটক্লাবটি দর্শনার্থীদের ভিড়ে পরিপূর্ণ ছিল তখন আগুন লাগে।
রবিবার গোয়ার আরপোরার বার্চ বাই রোমিও লেনে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে পঁচিশ জন নিহত হন। এর মধ্যে দিল্লি, কর্ণাটক এবং অন্যান্য রাজ্যের বিশ জন কর্মী এবং পাঁচ জন পর্যটক ছিলেন। জানা গিয়েছে, মধ্যরাতের পরে আগুন লাগে। তখনই উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়। ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয় বেশি। ২৫ জনের মৃত্যু হয়। মৃত পাঁচ পর্যটকের মধ্যে চারজন দিল্লির এবং একজন কর্ণাটকের। দিল্লির নিহতদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। বাকি বিশ জন কর্মী ছিলেন। এদের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের চারজন এবং ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র এবং নেপালের তিনজন করে শ্রমিক ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে যে আগুন লাগার সময় প্রায় একশ জন ডান্স ফ্লোরে ছিলেন। যার ফলে নিরাপত্তার জন্য বিশৃঙ্খলভাবে ছুটে আসা শুরু হয়। অনেকেই রান্নাঘরের দিকে দৌড়ে নিচে নেমে যান। সেখানে তারা বেশ কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে আটকা পড়েন। শনাক্তকৃত ভিকটিমদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছে পুলিশ। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে দিল্লির চারজন এবং কর্ণাটকের ইসহাক পর্যটক ছিলেন। বাকিরা নাইটক্লাবে কর্মরত ছিলেন। রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে যে মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পরেই সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে আগুন লাগে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। কেউ কেউ দাবি করেছেন যে প্রথম তলায় যেখানে পর্যটকরা নাচছিলেন সেখানে প্রথম আগুন লাগে। আরপোরা ব্যাকওয়াটারের ধারে অবস্থিত নাইটক্লাবের প্রবেশ এবং প্রস্থানের পথগুলিও সরু। অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার পথগুলিও অত্যন্ত সংকীর্ণ। ফলে দমকল কর্মীরা ভবনে পৌঁছাতে পারেনি। জরুরি যানবাহনগুলি প্রায় চারশ মিটার দূরে পার্ক করতে হয়েছিল। যার ফলে উদ্ধারকাজ ধীর হয়ে গিয়েছিল।
তদন্তকারীরা এখন পরীক্ষা করছেন কিভাবে আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল এবং প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুসরণ করা হয়েছিল কিনা। কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলটি খতিয়ে দেখছে।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন