নির্বাচনের আগে একের পর এক ঘটনা প্রবাহ, সত্যিই বাংলায় ভোট হচ্ছে বটে!

নির্বাচনের আগে একের পর এক ঘটনা প্রবাহ, সত্যিই বাংলায় ভোট হচ্ছে বটে!

নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবার শ্রমিক দিবসের দিন বোমা ফাটিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। একটি টিভি চ্যানেলে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেই ঘটনার অসম্ভব অভিঘাত পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এই আবহের মধ্যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনলেন রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা যায় কিনা তা নিয়ে যথারীতি বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং রাজ্যপাল।

বৃহস্পতিবার রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডলে রাজ্যপাল লিখেছেন, “সত্যের জয় হবে। কোনও কৌশলী আখ্যানের সামনে আমি মাথা নত করব না। কেউ আমার বদনাম করে ভোটে ফায়দা তুলতে চাইলে ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুন। বাংলায় দুর্নীতি এবং হিংসার বিরুদ্ধে আমার লড়াই চলবে। তাঁরা আমাকে থামাতে পারবেন না।” এ বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “অভিযোগটা সত্যি নাকি চক্রান্ত সেটা দেখতে হবে। ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূল কোণঠাসা। এই অভিযোগ ভোটের মুখে রাজনৈতিক চক্রান্ত কিনা তা দেখতে হবে। সত্যি হলে নিশ্চয়ই কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ করবে।” আর মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় বলেছেন, “সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৬১ অনুসারে রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি পদক্ষেপ করা যায় না। সাংবিধানিক রক্ষাকবচ রয়েছে রাজ্যপালের। তবে জমি জমা সংক্রান্ত কোনও দেওয়ানি মামলা করা যেতেই পারে। এমন অভিযোগ অতীতে উঠেছে বলে আমার মনে পড়ছে না। আদালতে বিষয়টি গেলে কী হবে তা আমার জানা নেই।”

শুক্রবার বাংলায় তিনটি সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ঠিক তার আগেই যেভাবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন নিয়ে যে উন্মাদনা দেখা যায়, যেভাবে শাসক-বিরোধী একে অপরের সঙ্গে রাজনৈতিক তরজায় জড়িয়ে পড়ে, তা অধিকাংশ রাজ্যে দেখা যায় না বলে রাজনৈতিক মহল মনে করে। আসলে বাংলার মানুষের বড় অংশ আর পাঁচটা রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি ‘পলিটিক্যাল’। বাংলায় নির্বাচন ঘিরে যে গণ উন্মাদনা তৈরি হয় তার সঙ্গে অন্য রাজ্যের তুলনাই চলে না। সেই সূত্রে দেখা যাচ্ছে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই প্রতিদিন নিয়ম করে নিত্য নতুন ইস্যু বা রাজনৈতিক ন্যারেটিভ তৈরি হয়েছে বাংলায়। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বহু বিতর্ক। এমন পরিস্থিতি অন্য কোনও রাজ্যে নেই বললেই চলে। তাই এটা বলা যেতেই পারে বাংলায় ভোট হচ্ছে বটে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *