তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের পর থানায় আত্মসমর্পণ বিজেপি কর্মীর

তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের পর থানায় আত্মসমর্পণ বিজেপি কর্মীর

নদীয়া: আলোচনায় উঠে এসেছিল রাজনৈতিক প্রসঙ্গ৷ বচসা থেকে ঘটে গেল খুনোখুনির ঘটনা৷ রাতের অন্ধকারে ভোজালি দিয়ে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল৷

ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর। অভিযোগের তির বিজেপির দুষ্কৃতীদের দিকে। ঘটনায় জখম আরও এক তৃণমূল কর্মী৷ ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷ ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণী থানা এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নদীয়ার কল্যাণী থানার গয়েশপুরে ভোজালি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ এক তৃণমূল কর্মীকে। অভিযোগ, বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারার সময় হঠাৎ বিশ্বজিৎ বৈদ্য নামে এক যুবক এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত প্রদীপ শীল ও শ্যামল দেবনাথ নামে দু’জন তৃণমূল কর্মীকে ভোজালি দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারে।

গুরুতর জখম অবস্থায় প্রদীপ ও শ্যামলকে জে এন এম হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে প্রদীপ শীল হাসপাতালে মারা যায়। শ্যাামলের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার গয়েশপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে।  স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রদীপ শীল ও শ্যামল দেবনাথ তৃণমূল কর্মী। প্রদীপ শীল ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ কর্মী। বিভিন্ন  দলের রাজনৈতিক তর্কাতর্কি নিয়ে হঠাৎ বিশ্বজিৎ বৈদ্য ভোজলি নিয়ে কোপায় প্রদীপ ও শ্যামলকে। এই ঘটনার পর বিশ্বজিৎ কল্যাণী থানায় আত্মসমর্পণ করে।

কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কৌশিক ঘোষ বলেন, পুরোটাই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের চক্রান্ত। যদিও তৃণমূলের দাবি অস্বীকার করে কল্যাণী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই যেভাবে গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চলছে কল্যাণী তার ব্যতিক্রম নয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা৷ অভিযুক্ত আমাদের দলের কেউ নয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + fifteen =