বাংলায় হাওলা কারবারে সাঙ্কেতিক ভাষা, উদ্ধারের চেষ্টায় ইডি

কলকাতা: হাওলা কারবারিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরির পাতা ওল্টাতে গিয়ে হঠাৎই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অফিসারদের নজরে আসে তিনটি শব্দ, যা সাঙ্কেতিক ভাষা হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, নেতাজি, নেতাজি ১ এবং নেতাজি ২। যা দেখে কিছুটা অবাক হন তাঁরা। এর আড়ালে কি কোনও রাজনৈতিক নেতার টাকা পাচার হয়েছে বিদেশে, সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা

বাংলায় হাওলা কারবারে সাঙ্কেতিক ভাষা, উদ্ধারের চেষ্টায় ইডি

কলকাতা: হাওলা কারবারিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরির পাতা ওল্টাতে গিয়ে হঠাৎই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অফিসারদের নজরে আসে তিনটি শব্দ, যা সাঙ্কেতিক ভাষা হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, নেতাজি, নেতাজি ১ এবং নেতাজি ২। যা দেখে কিছুটা অবাক হন তাঁরা। এর আড়ালে কি কোনও রাজনৈতিক নেতার টাকা পাচার হয়েছে বিদেশে, সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে সেই নেতারা কারা, উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন নথি ও ফোন কলের সূত্র ধরে সেই প্রশ্নেরও কিনারা করতে তৎপর আধিকারিকরা।

হাওলা কারবারিদের ডেরায় হানা দেয় ইডি। একযোগে কলকাতার ছ’টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। কোথাও মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের নাম করে, আবার কোথাও গদি খুলে এই ব্যবসা চালানো হচ্ছিল। উদ্ধার হয় নগদ প্রায় আট কোটি টাকা। এমনকী বাংলাদেশি মুদ্রা এবং নোটও পাওয়া যায়। এছাড়াও সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি ডায়েরি ও ইলেক্ট্রনিকস গেজেট। ডায়েরিতে ভালো ছেলে, খারাপ ছেলে, বাবু, বাপির মতো একাধিক সাঙ্কেতিক কোডও মিলেছে। এগুলি ডিকোড করে এর অর্থ জানার চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে, যে সব মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র খোলা হয়েছিল, সেগুলির কোনও লাইসেন্স ছিল না। এরপরই ফরেন একচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৯৯ ধারায় (ফেমা) মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *