আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জোর করে জমি অধিগ্রহণের অভিযোগ, হলফনামা চাইল হাই কোর্ট

আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জোর করে জমি অধিগ্রহণের অভিযোগ, হলফনামা চাইল হাই কোর্ট

কলকাতা: ঝাড়খন্ড থেকে বাংলাদেশ, দীর্ঘ এলাকাজুড়ে পাওয়ার প্রজেক্টের কাজ শেষ করে ফেলেছে আদানি গোষ্ঠী৷ কিন্তু অভিযোগ, ওই বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য জোর করে জমি অধিগ্রহণ করেছে আদানি গোষ্ঠী৷ এই অভিযোগেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর। জমি অধিগ্রহণ মামলায় এবার কেন্দ্রের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। কীভাবে জমি অধিগ্রহণ হয়েছে এবং ক্ষতিপূরণের বিষয়টি কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রের হলফনামা দাবি করা হয়েছে৷ এক সপ্তাহের মধ্যে এই হলফনামা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ 

আদালত সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মুর্শিদাবাদের উপর দিয়ে হাইটেনশন তার গিয়েছে বাংলাদেশে। মুর্শিদাবাদের যে অঞ্চলের উপর দিয়ে এই হাইটেনশন তার পাঠানো হয়েছে,  সেখানে আম ও লিচু বাগান থাকায় প্রবল আপত্তি জানান কৃষকরা। কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের একাধিকবার খণ্ডযুদ্ধও হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার বেনিয়া গ্রামের অধিকাংশ মানুষই আম ও লিচুর চাষী৷ এলাকায় খালি জমিও রয়েছে৷ সেদিক দিয়ে হাইটেনশন তার নিয়ে যাওয়া হোক৷ বাগানের উপর দিয়ে হাইটেনশন তার গেলে তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ফসল। বারবার প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এর পরেই জমি লুটের অভিযোগ তোলে এপিডিআর। রাজ্যের প্রশাসন কর্পোরেট কর্তাদের জমি লুটে মদত যোগাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। অতঃপর তাঁরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। এই বিষয়ে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেন আরও ৩৫ জন ফল চাষি। এই মামলার এখনই নিষ্পত্তি করতে নারাজ  প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত আগে কেন্দ্রকে হলফনামা দেখতে চায়। এক সপ্তাহের মধ্যে ওই হলফনামা জমা দিতে হবে কেন্দ্র। তারপরেই হবে শুনানি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *