রাতের দিকে ম্যাডামের কাছে আসতেন পার্থ দা! চাঞ্চল্যকর দাবি অর্পিতার ড্রাইভারের

রাতের দিকে ম্যাডামের কাছে আসতেন পার্থ দা! চাঞ্চল্যকর দাবি অর্পিতার ড্রাইভারের

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে তাড়া তাড়া নোটের বান্ডিল উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোনার গয়না, বিদেশি মুদ্রা, মোবাইল ফোন৷ হদিশ মিলেছে একের পর এক সম্পত্তির৷ দামী ফ্ল্যাট থেকে নামী কোম্পানির গাড়ি, কী নেই সেখানে! সেই বিপুল অর্থের সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক৷ এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন অর্পিতার গাড়ির চালক প্রণব ভট্টাচার্য৷ 

আরও পড়ুন- এসএসসি-কাণ্ডে হাওয়ালা যোগ! জানেন কী ভাবে কাজ করে হাওয়ালা ব্যবস্থা?

তাঁর কথায়, রাতের দিকে বাড়ি ফেরার পথে মাঝেমধ্যে অর্পিতার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন পার্থ দা৷ আবার পার্থ দা’র নাকতলার বাড়িতে যেতেন অর্পিতা৷ একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন,  বেহালা ম্যানটনে পার্থদার অফিসে যেতেন ম্যাডাম। তাঁর গ্যারাজে ছিল হুন্ডা সিটি, মার্সিডিজ বেঞ্জ, মিনি কুপার, মাহিন্দ্রা আলটুরাস-এর মতো দামী গাড়ি। তবে গত তিন মাস ধরে বেশ কয়েকটি গাড়ি দেখা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। বলে রাখা ভালো, অর্পিতার গাড়ির চালক হিসাবে প্রণবকে চাকরি দিয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীই৷ 

কোথায় কোথায় যাতায়াত ছিল অর্পিতার? প্রণের কথায়, নাকলতায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাতায়ার ছিল ম্যাডামের৷ একবার বোলপুরেও গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় গাড়িতে তাঁর মা-ও ছিলেন। মাঝেমধ্যে অর্পিতা তাঁকে গাড়ি রেখে চলে যেতে বলতেন৷ প্রণবের দাবি, টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথে তিনটি ফ্ল্যাট ছিল অর্পিতার। উপরের ফ্ল্যাটে থাকত ৮টি সারমেয়৷ সেগুলি লব অর্পিতার বলেই জানতেন তিনি।

তবে অর্পিতার ফ্ল্যাটে যে টাকার পাহাড় রয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানা ছিল না তাঁর৷ প্রণব বলেন, ম্যাডাম একটা ছোট ব্যাগ নিয়ে বেরতেন৷ অর্পিতার ফ্ল্যাটে যখন ইডি অভিযান চালিয়েছিল, তখন সেখানে ছিলেন প্রণব? কীই বা দেখেন তিনি? তিনি বলেন, দেখলাম ব্যাগ উপুর করে টাকা ঢালছে। তবে এর আগে টাকা পয়সা নিয়ে কিছু শুনিনি। তিনি আরও বলেন, কল্যাণ মাঝেমধ্যে আসত। পার্লারগুলো দেখাশোনা করত। পার্থদার কর্মীরাও আসত। মাঝেমধ্যে খাবারদাবার পৌঁছে দিত। তবে পার্থদা কমই আসতেন। রাতে বাড়ি ফেরার পথে ঘুরে যেতেন। প্রণব বলেন, ইডি জানতে চাইলে যা জানি সব সত্যি বলব। জানান, অর্পিতার গাড়ির চালক।