সৌরভকে ‘বাঁচাতে’ বহু ছক করা হয়েছিল ঘটনার রাতে! যাদবপুরকাণ্ডে জানালো পুলিশ

সৌরভকে ‘বাঁচাতে’ বহু ছক করা হয়েছিল ঘটনার রাতে! যাদবপুরকাণ্ডে জানালো পুলিশ

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় মূল তিন অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী, মনোতোষ ঘোষ, দীপশেখর দত্তকে ফের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আজই মামলার শুনানি ছিল এবং পুলিশ ধৃতদের নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেছে। পুলিশ স্পষ্ট বলছে, এই ঘটনার মূল ‘মাথা’ ছিল সৌরভ। সেই হচ্ছে ‘কিংপিং’। ছাত্র মৃত্যুর পর কী ভাবে বিষয়টি সাজানো হবে, কে কী বলবে, সবই সে ঠিক করে দিয়েছে। তবে এখানেই থামেনি পুলিশ। তারা আরও জানিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে সৌরভকে ‘বাঁচাতে’ একাধিক ছক কষা হয়েছিল। 

এদিন সরকারি পক্ষের আইনজীবী জানান, দুর্ঘটনার পর থেকেই গোটা ঘটনাটির একটি সুবিধাজনক কাহিনি তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল। ‘হোতা’ সৌরভকে ‘বাঁচাতে’ হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছিল রাতারাতি। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ চ্যাটে সৌরভ উল্লেখ করেছিল যে, মা অসুস্থ থাকলেই সে এই হস্টেলে এসে থাকে। অর্থাৎ কলকাতায় চিকিৎসার জন্য মাকে আনার পর সে হস্টেলে থাকে এমনটা বোঝানো হয়েছিল। শুধু তাই নয়, হস্টেলে ঘটনার দিন তিন দফায় দু’টি বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে দুর্ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন মূলত সৌরভই। এখানেই শেষ নয়, একাধিক ছাত্রকে বলে দেওয়া হয়েছিল যে কী বলতে হবে। পুলিশের অনুমান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় যাতে সকলের বয়ান এক হয়, তার চেষ্টা করা হয়েছে। 

সরকার পক্ষের আইনজীবীর স্পষ্ট বক্তব্য, ওই ছাত্রকে ‘খুন’ করা হয়েছে, যা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ ঘটনা। অন্যদিকে, ধৃতদের আইনজীবীর দাবি ছিল, তাঁদের মক্কেলরা মানসিক হেনস্থার শিকার হয়েছে। তাঁদের কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সরকারি আইনজীবী এই বক্তব্যে সম্মতি জানাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *