কলকাতা: গত বৃহস্পতিবার নবান্ন হওয়া রিভিউ মিটিংয়ে বড় প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাক্তারিতে ডিপ্লোমা কোর্স চালু করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। সেই মতো পদক্ষেপ নিয়ে বিশেষ কমিটি গঠনও করেছে রাজ্য। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে বড়সড়। চিকিৎসক মহলের একাংশ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে একেবারেই খুশি নয়। আজ সোমবার সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল এসইউসিআই-এর ছাত্র সংগঠন ডিএসও। তাদের বক্তব্য, সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অবৈজ্ঞানিক, অনৈতিক।
মুখ্যমন্ত্রী যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে তৈরি হয়েছে এক বিশেষ কমিটি। তারা বোঝার চেষ্টা করবে যে ৩ বছরে চিকিৎসক ‘বানানো’ সম্ভব কিনা। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েই আজ স্বাস্থ্য ভবন অভিযান হয়। কিন্তু সল্টলেকের বেনফিস থেকে মিছিল করে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে এগিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে তখন কিছুটা অশান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়ও হয়। এতে আরও বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত যে তারা মানছেন না তা স্পষ্ট করা হয়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির শপথ অনুষ্ঠান, শপথ নিয়ে বললেন প্রধান বিচারপতি! কে এই বিচারপতি?” width=”853″>
উল্লেখ্য, চিকিৎসক হওয়ার জন্য এ দেশে ন্যূনতম ৫ বছরের প্রশিক্ষণ দরকার হয়। তারপরই মেলে এমবিবিএস ডিগ্রি। তবে এই প্রস্তাবে মুখ্যমন্ত্রী চান ৩ বছরের মধ্যে সবরকম প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে ‘চিকিৎসক’ তৈরি করতে। প্রস্তাব অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কিছু ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেবেন। সেই প্রেক্ষিতে স্যালাইন, অক্সিজেন দেওয়া, ওষুধ দেওয়া সংক্রান্ত কাজকর্মের ক্ষেত্রে বেশি দিনের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। অল্প কিছু বছরের মধ্যেই তারা এই কাজে সক্ষম হবে। পরবর্তী সময়ে তাঁদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো যেতে পারে।