রাস্তা তৈরি হটমিক্স ব্যহারে নিষেধাজ্ঞা, সিদ্ধান্তে অনড় পরিবেশ আদালত

কলকাতা: রাস্তা তৈরি ও সারাইয়ে হটমিক্স ব্যবহারে শহরে বাড়ছে বায়ু দূষণ। আগের সিদ্ধান্তেই অনড় পরিবেশ আদালত। রাজ্যকে সময় দেওয়া হল ৪ মাস। কলকাতা পুরসভাকে হটমিক্স ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। বিকল্প পদ্ধতি চালুর নির্দেশ দেওয়া হয় পুরসভাকে। এরপরও পুরোপুরিভাবে বন্ধ করা যায়নি এর ব্যবহার। পরিবেশবিদদের মতে শীঘ্রই বিকল্প পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করা উচিত।

রাস্তা তৈরি হটমিক্স ব্যহারে নিষেধাজ্ঞা, সিদ্ধান্তে অনড় পরিবেশ আদালত

কলকাতা: রাস্তা তৈরি ও সারাইয়ে হটমিক্স ব্যবহারে শহরে বাড়ছে বায়ু দূষণ। আগের সিদ্ধান্তেই অনড় পরিবেশ আদালত। রাজ্যকে সময় দেওয়া হল ৪ মাস। কলকাতা পুরসভাকে হটমিক্স ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। বিকল্প পদ্ধতি চালুর নির্দেশ দেওয়া হয় পুরসভাকে। এরপরও পুরোপুরিভাবে বন্ধ করা যায়নি এর ব্যবহার। পরিবেশবিদদের মতে শীঘ্রই বিকল্প পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করা উচিত। আর এই বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহারে দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। মত পরিবেশবিদ সৌমেন্দ্রমোহন ঘোষের। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে আগের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকল আদালত। এবার কলকাতায় হট মিক্স প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধ করতে রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুরসভাকে চার মাস সময় দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। ওই সময়ের মধ্যে রাস্তা তৈরি ও মেরামতিতে নতুন পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি আনার নির্দেশ। ‘পারফরম্যান্স গ্যারান্টি’ হিসেবে দু’সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে পূর্ত দপ্তর ও কলকাতা পুরসভাকে দু’কোটি টাকা করে জমা দিতে হবে। কলকাতায় চার মাসের মধ্যে হট মিক্স বন্ধ করা না-গেলে বাজেয়াপ্ত হবে ওই টাকা।

কলকাতার বাতাসে দূষণের বিষ। বায়ু দূষণের নিরিখে দিল্লিকেও অনেক সময়েই টেক্কা দিচ্ছে শহর কলকাতা। যা রীতিমত চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে পরিবেশবিদদের কাছে। কলকাতায় বাতাস দূষণের অন্যতম উৎস রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে হটমিক্সের ব্যবহার।
হট মিক্স কী? রাস্তা তৈরি ও সারাইয়ের জন্য কাঠ, কয়লা, টায়ার বা ডিজেল পুড়িয়ে পিচ গলানোর প্রযুক্তি হল হট মিক্স।
কী ধরণের দূষণ হচ্ছে? হট মিক্সের ধোঁয়ায় থাকে কার্বন মনোক্সাইডসালফার-ডাই-অক্সাইড নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস। পাশাপাশি বেনজোপাইরিন হাইড্রোকার্বন নির্গত হয়, যা ক্যান্সারের সহায়ক। কী ধরণের ক্ষতি হয় শরীরে? হটমিক্স ব্যবহারে দেখা দিতে পারে হাঁচি কাশির মতো উপসর্গ। ক্ষতি হতে পারে পরিপাকতন্ত্র ও শ্বাসযন্ত্রের।

পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চ কলকাতায় হট মিক্স প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু তার ফলে শহরে রাস্তা মেরামতিতে সমস্যা হচ্ছে, এই দাবি তুলে পরিবেশ আদালতের প্রিন্সিপাল বেঞ্চে কলকাতা পুরসভা ও রাজ্য সরকার আবেদন করেছিল। মঙ্গলবার তার শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে প্রযুক্তিতে বদল আনতে ছ’মাস সময় চাওয়া হয়। আদালত সূত্রের খবর, বিরক্তি প্রকাশ করে প্রিন্সিপাল বেঞ্চ জানতে চায়, এক বছর আগে হট মিক্স প্লান্ট বন্ধের নির্দেশ জারি করা হলেও এত দিনে নতুন প্রযুক্তি চালু করা হল না কেন? আদালত সূত্রের খবর পুলিশ, প্রযুক্তিবিদ ও ঠিকাদারদের একাংশের অশুভ আঁতাঁতের ফলে এত দিনেও হট মিক্স প্রযুক্তির বদল হচ্ছে না। এখন দেখার পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে কবে বন্ধ হয় হটমিক্স প্রযুক্তির ব্যবহার। আদৌ কী পরিবেশ বান্ধব বিকল্প প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হবে শহর কলকাতায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =