তারাপীঠে ডান্স বার! বাউন্সার দিয়ে ঘিরে চটুল নাচ-নেশা, নালিশ পুলিশের কাছে

তারাপীঠে ডান্স বার! বাউন্সার দিয়ে ঘিরে চটুল নাচ-নেশা, নালিশ পুলিশের কাছে

 তারাপীঠ:  তারাপীঠ মন্দিরের ঠিক পাশে রমরমিয়ে চলছে ডান্স বার। রাত বাড়লেই সেখানে বাড়ছে মদ্যপের ভিড়৷ অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েক বার৷   কেড়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল, টাকাপয়সা, গয়না। এই অভিযোগ তুলেই পুলিশের দ্বারস্থ তারাপীঠের মন্দির কমিটি। এত প্রসিদ্ধ একটি তীর্থক্ষেত্রের কাছে কী ভাবে এই ডান্স বার থোলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

তারাপীঠ মন্দির থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে এই পানশালা৷ সন্ধ্যা গড়াতেই সেখান শুরু হয় চটুল গানের সঙ্গে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির নাচ৷ অভিযোগ, রাত একটু বাড়লেই বাড়ে অশ্লীলতা৷ পানশালায় ওড়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ফোয়ারা৷ মদ্যপানের নেশা আর মহিলাদের অশ্লীল নাচে বুঁদ হলেই মদ্যপায়ীদের সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। মদ্যপ অবস্থায় থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে মোবাইল ফোন, সোনার গয়না, টাকাপয়সা৷  দিনের পর দিন এই অত্যচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। মন্দির কমিটিও বার বন্ধের দাবি জানিয়েছে। তীর্থক্ষেত্রে আসা যাত্রীদের মদের নেশার বুঁদ করে অর্থ উপার্জন করতেই মন্দিরের নাকের ডগায় এই বার গজিয়ে উঠেছে বলে দাবি। সেই সঙ্গে পানশালায় চলছে স্বল্পবসনা ললনাদের অশ্লীয় অঙ্গভঙ্গীর নাচ। গন্ডগোল হলেই মদ্যপায়ীদের বাউন্সার দিয়ে মারধর করে বাইরে ছুড়ে ফেলা হয়। সেই সময় তাঁদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ছিনতাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ 

সম্প্রতি জয়ন্ত রায় নামে এক মদ্যপায়ী এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন৷ তিনি প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগও জানান। তাঁর কথায়, ‘‘ রাত বাড়লেই মদের সঙ্গে ড্রাগ মেশানো হচ্ছে ওই বারে। হুক্কা বারে গাঁজা, চরস মিশিয়ে বুঁদ করে চলছে লুঠপাট। আমার সঙ্গেও একই ব্যবহার করা হয়েছে। আমার কাছ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার চেন কেড়ে নিয়েছে বারের ম্যানেজার সপ্তম সিং এবং বাউন্সার সিলন শেখ।’’